নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সমর্থন করলেও এনআরসি নয়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের পর এবার একই সুর শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি শরিক জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের গলায়। ‘বিহারে এনআরসি লাগু করা হবে না’, এ কথাই জানালেন নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধিতায় নীতীশের দল ছাড়ার পথে এই হেভিওয়েট নেতা
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থন করায় নীতীশের দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সিএএ সমর্থন নিয়ে নীতীশ নেতৃত্বের সমালোচনা করে সরব হয়েছেন দলের জেডিইউ নেতা তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সিএএ সমর্থন জেডিইউ-এর নীতি-আদর্শের পরিপন্থী বলে সরব হয়ছেন আরেক নেতা পবন ভার্মা। এমনকী, জেডিইউ সিএএ সমর্থন করায় দল ছাড়তে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পবন ভার্মা। এমতাবস্থায় এনআরসি ইস্যুতে নীতীশ কুমারের এহেন অবস্থান রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অন্যদিকে, এনআরসি নিয়ে জেডিইউ-এর মতো শরিকের এহেন অবস্থানে মোদী-শাহদের চাপ বাড়ল বলেই ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: সিএএ সমর্থন করেছি, কিন্তু এনআরসি নয়: নবীন পট্টনায়ক
এদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। সিএএ বিক্ষোভে অশান্ত দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্য। এনআরসি-সিএএ ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিরোধিতা জানিয়ে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে তৃণমূল। মমতার পাশাপাশি সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় সরব হয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের অশোক গেহলোত, ছত্তীসগড়ের ভূপেশ বাঘেল ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
Read the full story in English