Advertisment

'২০২৪ নিয়ে এবার ভাবুন', শপথ নিয়েই মোদীকে খোলা চ্যালেঞ্জ নীতীশের

বুধবার পাটনার বিভিন্ন জায়গায় 'নীতীশ কুমার মুর্দাবাদ' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Nitish Kumar calls JD(U) MLAs to Patna

চব্বিশে মোদীর প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন নীতীশ?

'সাওন কা মাহিনায়' বিহারে পালাবদল! পাঁচ বছর পর মগধে ফের চাচা-ভাতিজার সরকার। আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। এই নিয়ে রেকর্ড আটবার। দুপুর দুটো নাগাদ রাজভবনে শপথ নেন নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তেজস্বী দ্বিতীয়বার নীতীশের ডেপুটি হলেন। দুবছর ছিলেন সেই পদে। ২০১৭ সালে মহাজোটের সরকার ভেঙে গিয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তেজস্বীকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন নীতীশ। তেজস্বী রাজি না হওয়ায় জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। পাঁচ বছর পর বিজেপির সঙ্গত্যাগ করে ফের তেজস্বীর হাত ধরলেন নীতীশ। আজ ফের বিহারের মসনদে 'চাচা-ভাতিজা'।

Advertisment

মঙ্গলবারই এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ কুমার। ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে। এর পর তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে জোট সরকার গড়ার আবেদন জানান। পাঁচ বছর পর মহাগটবন্ধনে নীতীশের ফেরা নিয়ে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, "এটা ২০১৭-২০২০ সালের জনাদেশের ঘরওয়াপসি। নয়া সরকার শপথ নিচ্ছে সেটা বলা শুধু ভুল হবে।"

এদিকে, নীতীশকে স্বভাবগত বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বুধবার পাটনার বিভিন্ন জায়গায় 'নীতীশ কুমার মুর্দাবাদ' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড। এর আগে ২০১৫ সালে নীতীশ লালুর সঙ্গে জোট করে সরকারে আসেন। তখনও বিশ্বাসঘাতক বলেছিল বিজেপি। তারপর ২০১৭ সালে বিজেপির হাত আবার ধরেন নীতীশ। এবার পাঁচ বছর পর ২০১৫র পুনরাবৃত্তি করলেন নীতীশ কুমার।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিহারে নীতীশের নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। কিন্তু নীতীশ কুমারের দল সংযুক্ত জনতা দলের আসন অনেক কমে যায়। উল্টোদিকে বিজেপির আসন অনেক বাড়ে। যেহেতু এনডিএ নীতীশকে নেতা করেই নির্বাচনে লড়েছিল তাই তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকেই একেবারে স্বস্তিতে ছিলেন নীতীশ, এমনটা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল অনেক বার বলেছে।

আরও পড়ুন কেন NDA ছাড়লেন নীতীশ, এই ৬টি কারণেই বিজেপি-জেডি(ইউ) বিচ্ছেদ

তার অন্যতম কারণ, চিরাগ পাসওয়ান এবং তাঁর লোক জনশক্তি পার্টি। নীতীশের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল জনতা দলকে চাপে রাখতেই চিরাগ এবং এলজেপিকে ব্যবহার করেছিল বিজেপি। যখন ভোটবাক্সে দেখা গেল, ভোট কাটাকাটির জন্য জনতা দলের আসন কমেছে, তখন বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় নীতীশের। একেবারেই মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি তিনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। তা সত্ত্বেও একেবারেই স্বস্তিতে ছিলেন না নীতীশ। গত এক বছরে এনডিএ জোটের দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়। যেটা দুবছরের মাথায় বিজেপি-জেডিইউ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ, বলছেন নীতীশ ঘনিষ্ঠরা।

bihar Nitish Kumar RJD JDU Tejashwi Yadav Grand Alliance
Advertisment