নতুন সঙ্গী নিয়ে বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হলেন নীতীশ কুমার। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে ওয়াকআউট করল বিরোধী দল বিজেপি। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় নীতীশের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ১৬৪ জন বিধায়কের। আর বিরোধী বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ জন। ফলে নীতীশ কুমারের যে আস্থা ভোট জয় করতে অসুবিধা হবে না তা প্রথম থেকেই স্থির ছিল। আর, অসুবিধা হয়নিও। এই পরিস্থিতিতে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
আস্থা বিতর্ক চলাকালীন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অভিযোগ করেন যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলোর কৃতিত্ব দাবি করছে। তিনি বলেন, ‘হর ঘর জল’ বিহার সরকারের প্রকল্প। আর, গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা তৈরির প্রকল্পটি অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় চালু হয়েছিল। সেসব না-জেনেই বিরোধী বা বিজেপি কটাক্ষ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার এইসব প্রকল্পের কৃতিত্ব নেওয়ার যোগ্য নয় বলেই জানান নীতীশ।
পালটা, বিজেপি নেতা তারকিশোর প্রসাদ বলেন যে জেডি (ইউ) কখনও বিহার নিজের জোরে ভোটে জিততে পারে না। আর সেই দলের নেতা নীতীশ কুমার কেবল তাঁর ডেপুটি পরিবর্তন করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চান। জবাবে নীতীশ জানান, তাঁর ব্যক্তিগত কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। তিনি শুধু বিহারের উন্নতিতে কাজ করতে চান। নীতীশ বলেন, 'বাজপেয়ী, আদবানির মত নেতারা আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছেন।' নীতীশ অভিযোগ করেন, তাঁরা পাশ কাটিয়ে বিজেপি বিহার পরিচালনা করতে চাইছিল। সেই কারণেই তিনি ২০১৩ সালে বিহারে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপির তিন জামাই, ইডি-সিবিআই আর আইটি’, তোপ তেজস্বীর
এর আগে মঙ্গলবারই বিহারের স্পিকার বিজয়কুমার সিনহা ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে নতিস্বীকার করে’ পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ‘স্পিকারের চেয়ার পঞ্চ পরমেশ্বরের মত। সেই চেয়ারের বিরুদ্ধে সন্দেহ জাগিয়ে নীতীশ কুমার কী বার্তা দিতে চান, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’ একইসঙ্গে বিজয়কুমার সিনহা জানিয়েছেন যে ২৬ আগস্ট, শুক্রবার বিহার বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচন হবে। স্পিকার নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার মহেশ্বর হাজারিই বিধানসভার কার্যকলাপ অস্থায়ীভাবে পরিচালনা করবেন।
Read full story in English