সম্প্রতি একের পর এক বিধানসভায় হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। তারপর কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ ইভিএমের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে ফের সেই ইভিএমকে ত্রুটিমুক্ত করতে বিবৃতি জারি করেছে ইন্ডিয়া জোট। জোটের বৈঠকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। যাতে ইভিএমের ডিজাইন ও সেটা যেভাবে কার্যকরী হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ইন্ডিয়া জোটের অভিযোগ ছিল ভারতের নির্বাচন কমিশন ওই স্মারকলিপি জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দেখায় নি।
ইভিএমের কাজ করার প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকগুলি সংশয় রয়ে গিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞও এই ইস্যুতে সংশয় প্রকাশ করেছেন। আবার ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবিও উঠতে শুরু করেছে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র তরফে। জুলাইয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠিও দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এদিকে সূত্রের খবর, কমিশন ইতিমধ্যেই ইভিএমের কাজ করার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধী জোটের স্মারকলিপির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
উত্তরে ইসি জানিয়েছে "ইভিএম তৈরির দায়িত্বে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে দুটি সংস্থার হাতে দায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়েছে। মাইক্রোকন্ট্রোলারগুলি উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার অধীনে তাদের কারখানার ভিতরে BEL/ECIL দ্বারা ফার্মওয়্যার সহ পোর্ট করা হয়। যেখানে শুধুমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের অ্যাক্সেস কার্ড এবং বায়োমেট্রিক স্ক্যানের মাধ্যমে তা অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়া হয়। মাইক্রো কন্ট্রোলারে ফার্মওয়্যার প্রোগ্রাম লোড করার সঙ্গে দেশি বা বিদেশী কোন বাইরের সংস্থা জড়িত নয়।” সেলফোন বা ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করে ইভিএম কারচুপি করা যায় এমন দাবির বিষয়ে ইসি বলেছে: “দাবিটি ভিত্তিহীন এবং অবৈজ্ঞানিক…।
VVPAT সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানিয়েছে VVPAT-এর ২ ধরণের মেমরি রয়েছে - একটি যেখানে প্রোগ্রাম নির্দেশাবলী মাইক্রোকন্ট্রোলারগুলির জন্য রাখা হয় যা শুধুমাত্র একবার প্রোগ্রাম করা যায় এবং অন্যটি যেখানে গ্রাফিকাল চিত্রগুলি সংরক্ষণ করা হয়, যেখানে প্রতীকগুলি প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে লোড করা হয়।
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। সেই প্রশ্নে কমিশন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাইকোর্ট বারবার ইভিএম মেশিনগুলি পরীক্ষা করেছে এবং কমিশন ইভিএমগুলির ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রেখে চলছে। ২ মিলিয়ন ইভিএম হারিয়ে যাওয়ার খবর সত্য কিনা এই প্রশ্নে কমিশন জানিয়েছে বিষয়টি বিচারাধীন এবং বম্বে হাইকোর্টে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। এছাড়াও ইভিএম এবং ভিভিপিএটিগুলির উত্পাদন, খরচ, পরীক্ষা, পরিবহন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটে।