বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নাকচ করে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। বুধবার তিনি বলেছেন নতুন এই আইন সমাজ, সংবিধান এবং ধর্মবিরোধী। তিনি জানিয়েছেন কংগ্রেস যতদিন ক্ষমতায় আছে, এই আইন প্রয়োগ করা হবে না।
ভোপালে এক মিছিলের নেতৃত্ব দেবার পর কমল নাথ বলেন, "জনবিরোধী, সংবিধানবিরোধী, ধর্মবিরোধী কোনও আইন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন চালু হবে না।"
প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা নয়া আইন সম্পর্কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, এই আইন মূল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্য। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন এই আইন প্রণয়ন বিষয়ে তিনি হাইকম্যান্ডের নির্দেশ মেনে চলবেন।
"মোদীজি আর অমিত শাহজি আমাদের নিরক্ষর ভাবেন নাকি! আমরা আইনটা পড়েছি। আমরা এর উদ্দেশ্য বুঝি। কী লেখা রয়েছে, কী লেখা নেই সেটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হল কী করে বিষয়টি ব্যবহার করা হবে এবং কী ভাবে বিষয়টির অপব্যবহার করা হবে।"
কমল নাথ জানিয়েছেন, তাঁর দল এনআরসির কোনওরকম সংযোগ ছাড়া এনপিআর লাগু করার পক্ষে।
"এই যে এনপিআর নিয়ে এসেছেন, সে তো আমরাও চাই, কিন্তু এর সঙ্গে কোনও এনআরসি যুক্ত ছিল না। ওরা চাইছে দুটো মিলিয়ে দিতে, ফলে বোঝাই যাচ্ছে ওদের উদ্দেশ্য কী!"
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা স্থির করেছে আসাম ছাড়া সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এনপিআর আপডেট করা হবে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২১ সালের জনগণনার জন্য ৮৭৫৪ কোটি টাকা এবং এনপিআর আপডেট করবার জন্য ৩৯৪১ কোটি টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে মঞ্জুর করেছে।
কমল নাথ বলেছেন যেহেতু এই আইন দেশের মূল ভিত্তির বিরুদ্ধে ফলে তিনি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন।