আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে কোনও ভারতীয়ের নাম বাদ পড়বে না। এ আশ্বাস খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
শনিবার রাজধানী দিল্লিতে উত্তরপূর্বের ছাত্রদের উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি এলাকায় নতুন ছাত্রদের স্বাগত জানানোর এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এন আর সি আসলে ভারতীয় নাগরিকদের চিহ্নিত করে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয়। বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর প্রতিষ্ঠিত এনজিও ‘মাই হোম ইন্ডিয়া’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘‘আমি বলতে চাই যে কোনও খাঁটি ভারতীয় এন আর সি থেকে বাদ যাবেন না।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১৪ সালের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে বিজেপি-র দায়িত্বে ছিলেন সুনীল দেওধর। ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র জয়েরও মুখ্য কারিগর তিনিই।
আসামের নাগরিকত্ব তালিকা যে সুপ্রিম কোর্টের সরাসরি তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে, সে ব্যাপারে জোর দিয়ে রাজনাথের বক্তব্য, ‘‘কারা ভারতীয় আর কারা বিদেশি, সে কথা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’
গত ৩০ জুলাই আসাম এন আরসি-র তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, যে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লক্ষ মানুষ। এ ঘটনার জেরে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
২০০৫ সালে কংগ্রেস জমানা থেকেই আসামে এন আর সি-র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সে প্রক্রিয়া তুমুল গতিবেগ পায়।
১৯৫১ সালে আসামে প্রথম এন আর সি প্রস্তুত হয়, সে সময়ে ওই রাজ্য়ের জনসংখ্যা ছিল ৮০ লক্ষ। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী আসামের লোকসংখ্যা ছিল ৩.১১ কোটি। রাজ্যের রাজনীতিতে অবৈধ বসবাসকারী ইস্যু সবসময়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থেকেছে।
২০ শতকের শুরু থেকেই বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ আসামে চলে আসেন। ফলে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটে উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে।