'অযোধ্যা তো বাস ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যাক।' ৯০ দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় এই স্লোগান শোনা যেত সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা, কর্মীদের মুখে। একই নাড়া দিত ছিল বিজেপির। শনিবার অযোধ্যায় মন্দির নিমার্ণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার কী তাহলে তাদের নজরে কাশী মথুরা? সংঘ পরিবারের এক নেতার কথায় জানা গেল আপাতত এই ধরণের কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।
Advertisment
আরএসএসের এক শীর্ষ পদাধিকারীর মতে, 'কাশী মথুরা এখন পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত নয়। প্রত্যেক ভারতবাসীর সহায়তায় আমরা দ্রুত রাম মন্দির নির্মাণ করতে চাইছি।' সোমনাথ মন্দিরের তুলনা টেনে তিনি বলেন, 'মন্দির তৈরিতেই আগামী কয়েক বছর সময় লাগবে। মানুষের ইচ্ছে দ্রুত মন্দির গঠন। তাই অন্য কোনও ইস্যু এখন আগ্রাধিকারের তালিকায় নেই।'
রায়ের পর আরএসএসের লক্ষ্য কী হবে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ভাগবত বলেন, “এখন আমাদের লক্ষ্য হবে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। আমরা রাম মন্দির বানাব অযোধ্যায়। আর সেটা সকলকে নিয়েই আমাদের করতে হবে।’’ মথুরা ও বারাণসীর মসজিদের জায়গাতে মন্দির তৈরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ভাগবত-ও সাফ জানিয়ে দেন, 'এরকম কোনও পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি নেই সংঘর। এখন একমাত্র কাজ মন্দির নির্মাণ করা। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মধ্যে দিয়ে দেশের সমস্ত মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে।' মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, 'কয়েক দশক ধরে এই মামলাটা চলছিল। আমি মনে করি আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা কারোর জিত বা হার না। আমরা সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
অযোধ্যা রায়ের আগে সংঘ পরিবার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি নেতৃত্ব বৈঠক করেছিলেন।। সেখানেও কাশী বা মথুরা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছে সূত্র। অযোধ্যা রায় অন্যরকম হলে কী হত, তা অজানা। কিন্তু, আপাতত রাম মন্দির ইস্যুকেই আগ্রাধিকার দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। সেই কথাই ফুটে উঠলো বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়। তিনি বলেন, 'অযোধ্যা রায় সবে বেরিয়েছে। কাশি-মথুরা নিয়ে আন্দোলন হলে মানুষ আগের মতো একত্রিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।'