CM Mamata: কলকাতার তিন ওয়ার্ডে জয়ী নির্দল প্রার্থীদের দলে নিতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র ভবনে জয়ী ১৩৪ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্য নেতৃত্ব। এই বৈঠকেই কলকাতা পুরসভার আগামি পুরবোর্ড গঠন করেন দলনেত্রী। দলনেতা হিসেবে ফিরহাদ হাকিমেই আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পুরপারিষদে স্থান পেয়েছেন ১৩ জন। এই বৈঠকেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘যে তিন ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন, তাঁদের দলে নেওয়ার দরকার নেই। অপেক্ষা করতে হবে। কেউ যদি ভাবেন দলের সঙ্গে সাবোতাজ করে হারাবেন, তাহলে জেনে রাখা ভালো গেট ইট নট ইজি। সবাইকে সবকিছু দেওয়া যায় না।‘
এদিন তিনি ১০টি ওয়ার্ডে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গেও সরব ছিলেন। ‘তৃণমূলের নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিরোধী কাউন্সিলরদের স্বাগত জানাই। যে ১০ জন আমাদের প্রার্থী হেরেছেন, তাঁদের পুরসভার বিভিন্ন কাজে লাগাতে হবে। ৪০ জন নতুন কাউন্সিলরকে ভালো করে কাজ শিখতে হবে। সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। তবে কথা কম, কাজ বেশি। নতুন করে কর্মযজ্ঞ শুরুর সময় হয়েছে।‘
এদিন মেয়র-ইন-কাউন্সিল বা মেয়র পারিষদ হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়-- ডেপুটি মেয়র: অতীন ঘোষ, দেবাশীষ কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, আমিরুদ্দিন ববি, মিতালী বন্দোপাধ্যায়, রাম পেয়ারে রাম, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতো শান্তিপূর্ণ ভোট আগে কখনও হয়নি। অনেক কুৎসার পর মানুষ আমাদের ভরসা রেখেছে। তৃণমূলের সঙ্গে মাটির যোগ। যত জিতবো, তত মাটির সঙ্গে যোগ বাড়বে। তৃণমূল কংগ্রেসে অহংকারের কোনও জায়গা নেই। একুশের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও আমাদের ১৬ জন মারা গিয়েছিল। উল্টে দোষ পড়ে আমাদের ঘাড়ে।’
আবেগী মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘আজ আমি সুব্রত দাকে মিস করছি। একসময় দু’জনে মিলে কাউন্সিলরদের পাহারা দিয়েছি।’ এদিকে, রাজ্যের ঝুলে থাকা বাকি পুরসভায় দু’দফায় ভোট করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টকে পুরভোট মামলায় এই তথ্য দিয়েছে কমিশন। রাজ্যের ঝুলে থাকা ১১১টি পুরসভায় ভোট কবে? তার ইঙ্গিত এদিন পাওয়া গেল হাইকোর্টের শুনানিতে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ভোট নির্ঘণ্ট জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই ১১১টি পুরসভার মধ্যে ৫টি পুরনিগম আর ১০৬টি পুরসভা।
জানা গিয়েছে কমিশন হলফনামায় জানিয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দুই দফায় বাকি নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করবে। প্রথম দফায় ৫টি পুরনিগমে ভোট করাতে চায় ২২ জানুয়ারি আর শেষ দফায় ১০৬টি পুরসভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম দফায় যে ৫টি পুরনিগমে ভোট গ্রহণ করতে পারে কমিশন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—হাওড়া, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর, আসানসোল। আর পড়ে থাকা পুরসভাগুলোয় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা। এমনটাই হাইকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন