মিশন ২০২৪। মোদী সরকারকে উৎখাতে মরিয়া মমতা। দিদিকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরছে তৃণমূল। কিন্তু, বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়তে আপাতত দিল্লিতে সলতে পাকানোর কাজ করছেন তৃণমূল নেত্রী। গতকাল কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, আনন্দ শর্মার সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন। আর আজ তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন তিনি। কিন্তু এই পরিস্থিতি বড় হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বের প্রশ্ন। কে হবেন বিরোধী মুখ? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, 'আমি জ্যোতিষী নই। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। অন্য কেউ জোটের নেতৃত্ব দিলে আমার কোনও আপত্তি নেই। এটা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, যখন প্রয়োজন পড়বে তখন নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বিশ্লেষণ, এই মন্তব্য করে কার্যত মোদী বিরোধী মুখ প্রসঙ্গ এড়ালেন মমতা। একই সঙ্গে কৌশলে বিজেপির প্রতি কিছুটা নরম বিজেডি, ওয়াইসএসআর কংগ্রেসের মতো দলগুলোর সামনেও বিরোধী জোটে যোগদানের সুযোগ তৈরি করে রাখলেন বাংলার 'অগ্নিকন্যা'।
আরও পড়ুন- ‘লিডার নই-আমি ক্যাডার’, সোনিয়াকে বার্তা মমতার
দিল্লি সফরে শুরুতেই তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করতে চেয়েছেন যে, আপাতত বিরোধীদের একসূত্রে গাঁথতে তৎপর তিনি। নেত্রী নয়, কর্মী বা সহযোদ্ধা হয়েই মিশন সফল করতে চান তিনি।
সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের দিল্লির বাড়িতে এদিন বসেছিল তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি বলেছেন, "অনেক হয়েছে অচ্ছে দিন। এবার আসবে সচ্চে দিন।" মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রদানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতেও যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। বৈঠকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধী জোট গঠনের তৎপরতাকে অবশ্য বিঁধেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বীত পাত্র ২০১৮ সালে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠান ও ২০১৯ সালে কলকাতায় বিরোধী সমাবেশের কথা তুলে ধরেন। বলেন, ''ওই দুই জায়গাতেই বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা বলেছিলেন যে মোদী সরকারকে হঠাতে সবাইকে এক হতে হবে। কিন্তু বিরোধীদের নাটক দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছেন।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন