দীর্ঘ রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বিস্তর আলাপ-আলোচনা। ফল সমস্যার সমাধান! পরের দিন শুভেন্দুর হোয়াটস-অ্যাপ মেসেজে তাল কেটে যাওয়া। তারপর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য। শুভেন্দুকে মেসেজের জবাব সৌগতবাবুর। কিন্তু স্পিকটি নট শুভেন্দু। দায়িত্ব থেকে সরতে হয়েছে সরকারি কর্মচারী ফেডরেশন থেকেও। তবে ময়দানের লড়াইতে যে সক্রিয় তা হাবেভাবে বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন জাতীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে পদযাত্রাও করলেন। বীর বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম দিনে দুটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেন।
মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই টান-টান উত্তজেনা শুরু হতে থাকে শুভেন্দু ও তৃণমূলের তিন সাংসদ, পিকের বৈঠককে কেন্দ্র করে। তারপর থেকেই রাজনীতির ঘুর্ণিপাক চলছে। বিজেপি নেতারাও তৃণমূলের বৈঠককে ঘিরে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এখনও নীরব শুভেন্দু। এই পরিস্থিতিতে অনুগামীদের একটা অংশ বিহ্বল। কিন্তু এদিনও অরাজনৈতিক মঞ্চে রাজনীতির ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু। সেই এক পন্থাতেই।
আরও পড়ুন, বাংলায় রাজনীতির অন্য ধারার সূত্রপাত শুভেন্দুর
প্রথমে পদযাত্রা। তারপর দুটি সভা। তমলুকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে 'রিলেট' করার জন্য বললেন, বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান। কিন্তু গড়বেতার ভাষণে ছিল অনেকটা রাজনীতির গন্ধ। তিনি যে 'কমফোর্ট জোনে' রাজনীতি করেন না তা জানাতে ভোলেননি। ২০১১-এর আগে তিনি বারে বারে সেখানে গিয়েছেন তাও স্মরণ করেন। এখানেই থামেননি তিনি। খোঁচা মেরেছেন তাঁর সমালোচকদের। তিনি বলেছেন, "গ্রামের ছেলেটা রাস্তায় বেরিয়েছে বলে ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকা কারও কারও অসুবিধা হচ্ছে। পান্তা খাওয়া গ্রামের এই ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়াই করবে।"
রাজনৈতিক মহলের মতে, অরাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু যা বলেছেন তা রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে কোনও অংশে কম নয়। রাজনীতির মঞ্চেও আনকোরা অনেকেই অরাজনৈতিক কথা বলে থাকেন। কিন্তু শুভেন্দু এদিন জানিয়েই দিয়েছেন তিনি লড়াইয়ে আছেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর পথ স্পষ্ট করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত রবিবার হলদিয়ায় যে পথে তৃণমূল মিছিল করেছে সেই একই রাস্তায় বৃহস্পতিবার পদযাত্রা করেছে শুভেন্দুর অনুগামীরা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ওই মিছিলে দাদার অনুগামী লেখা নেহরু টুপি পড়েছিলেন পদযাত্রাকারীরা। এই মিছিল, নেহরু টুপি নতুন করে জল্পনা উসকে দিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন