বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বাদল চৌধুরীর নেতৃত্বে ত্রিপুরায় সিপিআই (এম)-এর একটি প্রতিনিধি দল আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানিয়েছে যেন তিনি বাম কর্মীদের ওপর শাসকদলের কর্মীদের আক্রমণ রুখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেন। বাম নেতাদের আরও বক্তব্য, বাম দলের কর্মীরাই শুধু নন, আক্রান্ত হচ্ছে দলীয় কার্যালয়ও, এবং মূলত হিংসা এবং নজরদারির মাধ্যমে নিরন্তর প্রয়াস চলছে যাতে বাম দলের নেতা কর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারেন।
আগরতলায় সিপিআই (এম)-এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাদলবাবু বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি- আইএফটি জোট ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত আট মাস ধরে সাত হাজারেরও বেশি বামদলের কর্মী রাজনৈতিক হিংসার ভয়ে ঘরছাড়া অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। "সাত হাজারেরও বেশি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার ভয়ে ত্রিপুরার বাইরে দিন কাটাচ্ছেন। বেআইনিভাবে সরকারি জমির ওপর তৈরি, এই অপবাদ দিয়ে তিনশোর বেশি দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রীদের রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। এটা কিন্তু বাম জমানায় ছিল না," বলেন বাদলবাবু, যিনি আটবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা সরকারের ছুটির তালিকা থেকে বাদ মে দিবস, সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা
বাদলবাবু আরও বলেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুশাসনের অনুরোধ জানিয়েছেন, এবং নিশ্চিত করতে বলেছেন যে বেসরকারি জমিতে অবস্থিত বিরোধী দলের কার্যালয় যেন স্বাধীনভাবে চালানো যায়। এই ধরনের জমির ওপর অবস্থিত ৯৪ টি বাম দলীয় অফিসের তালিকা জমা করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এছাড়াও তাঁর কাছে আবেদন জানানো হয় যেন বিরোধী বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রীদের আগরতলার বাইরে গেলে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়া হয়। "উনি ধৈর্য ধরে আমাদের কথা শুনেছেন, এবং কথা দিয়েছেন, তাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব তিনি করবেন," বলেন বাদলবাবু।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মাণিক দে, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী এবং লোকসভা সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীও।