Advertisment

বিধানসভা ভোট দূরঅস্ত, জম্মু-কাশ্মীরে স্থানীয় প্রশাসনেই জোর কেন্দ্রের

শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েতি রাজ আইন, ১৯৮৯ সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য উন্নয়ন বোর্ডের বদলে কাউন্সিল গঠনই এর প্রধান লক্ষ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মেহেবুবা মুফতি সহ প্রথম সারির সব রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই মুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে অবিলম্বে ভোটের দাবি জানিয়েছেন ফারুক-ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতিরা। কিন্তু, আপাতত উপত্যকার স্থানীয় প্রশাসনকে পোক্ত করাতেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েতি রাজ আইন, ১৯৮৯ সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য উন্নয়ন বোর্ডের বদলে কাউন্সিল গঠনই এর প্রধান লক্ষ্য। কাউন্সিলের সদস্যরা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হবেন।

Advertisment

প্রতিটা জেলাকে ১৪ অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। অঞ্চল থেকে নির্বাচিতরাই চেয়ারপার্সন ও ভাইস-চেয়ারপার্সন নির্বাচন করবেন। জম্মু-কাশ্মীর পূর্ণাঙ্গ রাজ্য থাকাকালীন রাজ্য উন্নয়ন বোর্ডের বদলে এই কাউউন্সিল গঠিত হচ্ছে। আগে বোর্ডের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। সঙ্গে থাকতেন বিধায়ক, সাংসদরা।

১৪ অঞ্চলের নির্বাচনের জন্য আগামী সাত-দশ দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সরকারি সূত্রে এমনটা জানা গিয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রের কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত, স্থানীয় প্রশাসনকে সুদৃঢ় করবে ও উন্নয়নের কাজ তরান্বিত হবে বলেই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন শীর্ষ সরকারি আধিকারিক। তবে এর ভিন্ন মতও রয়েছে। একাংশ মনে করছেন, প্রশাসনের দ্বিতীয়স্তর (রাজ্য সরকার) কাউন্সিল গঠনের ফলে ধাক্কা খেতে পারে। কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তে উপত্যকায় বিধানসভা ভোটের বিষয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনিশ্চিয়তার ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কাউন্সিল গঠনের প্রতিবাদে মুখর ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি। উপত্যকার মানুষের জোটবন্ধ আওয়াজ প্রতিহত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা। পিডিপি নেতা নঈম আখতারের কথায়, 'যাতে একযোগে সোচ্চার না হওয়া যায় তাই পুরো বিষয়টিকেই রাজনীতিবিমুখ করার প্রয়াস। আমলা নির্ভর একটি ব্যবস্থা খাড়া করারর চেষ্টা চলছে।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, এনসি নেতার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সহমতের ভিত্তিতে এই উদ্যোগ হয়নি। এতে বিধায়কদের ভূমিকাও খাটো করা হয়েছে।

তবে, রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড একেবারে বিলুপ্ত করা হচ্ছে না। তার কাঠামোগত বদল হবে। সেখানে বিধায়কদের কিছুটা ভূমিকা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বোর্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন কমিটি উন্নয়নের নীতি, প্রকল্প তৈরি ও তা বাস্তবায়নে নজর রাখবে বলে জানা গিয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে আগামী নভেম্বরে প্রায় তের হাজার শূন্য পঞ্চ ও সারপঞ্চ আসনের জন্যও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

jammu and kashmir PM Narendra Modi
Advertisment