পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯-এর নির্বাচন হবে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের ইস্যুতে। মোদী সরকারকে ক্ষমতায় ফেরালে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীরা সকলেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। সীমান্তবর্তী জেলা মালদায় মঙ্গলবার এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ।
বিজেপি-র গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা আটকে যাওয়া এবং ব্রিগেডে মোদীর সভা বাতিল হওয়ার পর জেলায় জেলায় সভা করার পরিকল্পনা করেছে পদ্ম ব্রিগেড। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার মালদায় অমিত শাহর সভার আয়োজন করে বিজেপি। বেলা আড়াইটে নাগাদ সভামঞ্চে উপস্থিত হয়েই একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের মমতা সরকারকে তীক্ষ্ণ আক্রমণে বিদ্ধ করেন শাহ। এক ঝলকে দেখে নিন, শাহর এদিনের বক্তৃতার হাইলাইটস:
*আমি তৃণমূল সরকারের গণেশ উল্টাতে এসেছি।
*বাংলায় ভোটের ইস্যু নাগরিকত্ব বিল। পদ্মকে জেতান, তাহলে এক জন অনুপ্রবেশকারীও থাকবে না রাজ্যে। ওদের বের করব বলেই এনআরসি এনেছি। হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখদ অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেব আমরা।
*মমতা আপনি বলুন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করবেন কি না?
*রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় দুর্গা বিসর্জনের অনুমতি নেই। সরস্বতী পুজোর অনুমতি নেই। এটা পাকিস্তান না কি! দুর্গা বিসর্জন হবে না এমন বাংলা চান (জনতার উদ্দেশে)? যদি না চান, চাহলে বিজেপি-কে জেতান।
*নরেন্দ্র মোদীর সরকার উন্নয়নের কারখানা। সেই কারখানা থেকে উৎপাদিত উন্নয়ন দেশের সব রাজ্যে গেলেও, পশ্চিমবঙ্গে আসছে না। মমতা সরকারের ট্রান্সফরমার পুড়ে গিয়েছে বলেই এমন অবস্থা। পোড়া ট্রান্সফরমার ফেলে দিয়ে, নতুন ট্রান্সফরমার লাগান, উন্নয়নের স্বাদ পেতে বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনুন।
*স্বাধীনতার পর দেশের মোট উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গের ২৭% অংশীদারিত্ব ছিল। আর এখন তা ৩ শতাংশের কিছু বেশি।
*ইউপিএ শেষ পাঁচ বছরে বাংলাকে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আর মোদী সরকার পাঁচ বছরে দিয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আমরা এত বেশি টাকা আমরা দিয়েছি, তবুও মমতার পয়সা কম পড়ে যাচ্ছে। কারণ, মমতাজির লোকেরা টাকা খাচ্ছে। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না।
*মোদী সরকারকে এক বার জিতিয়ে দিন, রাজ্যে সিন্ডিকেট ট্যাক্স বন্ধ করে দেব। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশে কোনও সিন্ডিকেট ট্যাক্স নেই।
*আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে সঙ্কীর্ণ স্বার্থের জন্য আটকে দিয়েছে মমতা সরকার।