গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে জোটের প্রস্তাব দেয় তৃণমূল। তবে হাইকম্যান্ডের এব্যাপারে কোনও নির্দেশ না থাকায় কথা এগোয়নি।
'গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যাবে না দল', রবিবার এমনই জানিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি এদিন বলেন, 'জোটের বার্তা দেওয়ার পরেও তারা ক্রমাগত কংগ্রেস নেতাদের দলে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও নির্বাচনী সমঝোতা হবে না।''
উল্লেখ্য, গোয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব প্রথমে তাঁরাই দিয়েছিলেন বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক জানান, গত ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসকে গোয়া নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের দলের তরফে।
রবিবার অভিষেকের সেই দাবি মেনেও নেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি এধিন বলেন, ''তৃণমূল গোয়ায় জোটের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলটি ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে চলা এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের দলভাঙানোর প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। তারা প্রথমে বর্তমান বিধায়ক লুইজিনহো ফালেইরোকে দলে টানে। ১৬ ডিসেম্বর, আমরা রিজিওনাল্দো লরেন্সোকে প্রার্থী ঘোষণা করি। চার দিন পর ২০ ডিসেম্বর তারা তাঁকে দলে টেনে নেয়। ২৪ ডিসেম্বর জোটের প্রস্তাব দেওয়া হল। তার পরেও তারা ভাস্কো এবং মুরমুগাও থেকে আমাদের নেতাদের দলে টানে। এই সব ঘটনা কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেখেছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বের তরফ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও আলোচনার নির্দেশ ছিল না। তাই ব্যাপারটা সেখানেই বন্ধ হয়ে যায়।''
এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''২০২১-এর ২৪ ডিসেম্বর কংগ্রেসকে একত্রে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন ভার্মা ২৪ ডিসেম্বর বেলা দেড়টায় চিদম্বরমের লোধি রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন যে গোয়ায় আমাদের একসঙ্গে লড়াই করা উচিত। প্রতিটি গোয়াবাসীর জন্য বেরোতে হবে। অহঙ্কার দূরে রাখতে হবে। কিন্তু তিনি নিজের রাজনৈতিক ও ক্ষুদ্র স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে ব্যর্থ হন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।''
তবে রবিবার চিদম্বরমের বক্তব্যে এটা প্রায় স্পষ্ট যে গোয়ায় নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতার পথ প্রায় বন্ধ। এদিন চিদাম্বরম বলেন, ''আমি কংগ্রেস পার্টিতে অত্যন্ত বিনয়ী অবস্থানে আছি। আমি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের সমান নই। আমি বাংলার বিশিষ্ট সংসদ সদস্যের সঙ্গে মৌখিক মত বিনিময় করতে পারি না।''