মার্চ শেষ। এপ্রিল ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে। দেখতে দেখতে আর ক'টা মাস। তারপরই ২০২৪। এভাবেই ক্রমশ এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের শাসক বিজেপি দল এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য মরিয়া। বসে নেই বিরোধীরাও। সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। তবে, এখনও বিরোধী দলগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জোট গড়তে পারেনি।
সেই চেষ্টা সব বিরোধী দলই অবশ্য চালাচ্ছে। এবার পালা পড়েছে ডিএমকের। তামিলনাড়ুর দলটি 'ডিএমকে সম্মেলন'-এর নামে বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সেই নিয়ে আলোচনা করতে ১৬টি অবিজেপি দলকে ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন সম্মেলনে ডেকেছেন।
আমন্ত্রিত দলগুলোর তালিকায় বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টিকেও (ওয়াইএসআরসিপি) রাখা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই দুই দল বিরোধীদের বৃহত্তর জোটের বাইরেই থেকেছে। এবারও যে তারা নিজেদের অবস্থান বিশেষ একটা বদলাবে, তেমনটা কিন্তু নয়। বৃহস্পতিবার যেমন ওয়াইএসআরসিপি ডিএমকের থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে যোগও দেবে না। বিজেডি অবশ্য ডিএমকের সম্মেলন নিয়ে এখনও পর্যন্ত অবস্থান পরিষ্কার করেনি।
তবে, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজেডির থেকে বিশেষ কিছু প্রত্যাশা নেই বলেই জানিয়েছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। এই সব দলগুলোর অভিযোগ, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতাসীন দল বরাবরই ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। শুধু তাই নয়, তারা বরাবরই জাতীয়স্তরে বিজেপিকে বিরক্ত করা থেকে এড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন- গোষ্ঠী রাজনীতি তুঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা না-করেই কর্ণাটকে ভোটে যাচ্ছে বিজেপি
সম্মেলনে আমন্ত্রিত একটি দলের নেতার মতে, এই আমন্ত্রণ আসলে বিরোধীদের একমঞ্চে আসার সুযোগ দেবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করবে। বিরোধী দলগুলোর কাছে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে বিজেডি থেকে সম্মেলনে প্রতিনিধি যোগ দিতে পারেন। তবে সেই প্রতিনিধি হয়তো নবীন পট্টনায়ক হবেন না। তবে, নবীন বিরোধী শিবিরেও ইট রেখে দেওয়ার মত করে দলের মুখপাত্র সস্মিত পাত্রকে পাঠাতে পারেন।