বিপ্লব দেবের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ত্রিপুরা জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ্ ডেকেছিল ৬টি আদিবাসী সংগঠনের কাউন্সিল (টিটিএএডিসি)।
বড়মুরার সাধুপাড়ায় দিনভর বনধ্ সমর্থকদের স্লোগান উঠল 'বিপ্লব দেব গো ব্যাক', 'নরেন্দ্র মোদী ডাউন ডাউন',। নেতৃত্বে ছিলেন আইএনপিটি-র সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেব বর্মণ এবং এনসিটি-র সভাপতি অনিমেষ দেব বর্মণ।
উত্তর ত্রিপুরার কারামছেরা, দক্ষিণ ত্রিপুরার সিপাইজলা, গোমতীর অমরপুর, পশ্চিম ত্রিপুরার বড়মুরায় দিনভর চলেছে বনধ্ সমর্থকদের বিক্ষোভ।
জগদীশ দেব বর্মণ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "এই বনধ্ ত্রিপুরার আদিবাসী উন্নয়ন কাউন্সিল স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই সমর্থন করেছে। ৮ জানুয়ারি মাধববাড়িতে নাগরিক বিলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো মানুষদের লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমরা"।
সারা উত্তর পূর্ব ভারতে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিল এনইএসও। এনইএসও-র এক শরিক দল টিএসএফ মাধববাড়িতে রাস্তা আটকে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। বিক্ষোভের মাঝেই স্থানীয় কিছু দোকানে আগুণ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে এবং বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে আগুণ জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনায় ১৫ জন জখম হয়। এদের মধ্যে তিন জনের গায়ে বুলেটের আঘাত লেগেছে।
পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনাকে 'বর্বর এবং ক্ষমাহীন' বলেছেন জগদীশ দেব বর্মণ। "মাধববাড়িতে পুলিশের গুলি ছোড়ার ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পদত্যাগের দাবিতে শনিবারের বনধ্ ডাকা হয়েছিল। জখম বনধ্ সমর্থকদের ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে", জানিয়েছেন জগদীশ দেব বর্মণ।