মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই 'বিকল্পে'র কথা বলেছিলেন ক্যাপটেন। প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সিধুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে তিনি স্বার্থত্যাগ করতে রাজি বলেও সাফ জানিয়েছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল হাইকমান্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।
এরপর গতকালই দিল্লিতে এসেছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রটে যায় যে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি ও গেরুয়া শিবিরের যোগদান করতে পারেন অমরিন্দর। কিন্তু, এ নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। ফল্টে ক্যাপটেনের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছিলেন যে, রাজধানীতে গিয়ে সনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। কৃতজ্ঞতা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর উপর ভরসা করার জন্য।
জল্পনা-কল্পনার মাধ্যেই অনরিন্দরের গতিবিধিতে নজর রেখেছিল যুধুধান কংগ্রেস ও বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন অমরিন্দর সিং। উভয়ের মধ্যে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যাপটেনের মিডিয়া উপদেষ্টা। টুইটে লেখা হয়, 'দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। দীর্ঘ দিন ধরে চলা কৃষকদের আন্দোলনের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নয়া ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ নয়া কৃষি আইন বাতিলের জন্য তাঁর কাছে আবেন করেছি। ফসল বৈচিত্র্যে সম্পন্ন পাঞ্জাবকে সহায়তা করারও দাবি জানিয়েছি।'
এরপরই এনডিটিভি এক সাক্ষাৎকারে অমরিন্দর বলেন, 'এখনও পর্যন্ত আমি কংগ্রেসেই রয়েছি, তবে ভবিষ্যতে আর থাকব না। আমার সঙ্গে যে ব্যবহার হয়েছে তা কিছুতেই মানব না।'
ইতিমধ্যেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়ো থেকে মুছে ফেলেছেন 'কংগ্রেস' শব্দটি। আগামী বছরের শুরুতেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই কংগ্রেস ছাড়ার কথা বললেন অমরিন্দর সিং। যা নিঃসন্দেহে হাত শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন