মোদীর বৈঠকে বলতে না পেরে ক্ষুব্ধ মমতা। ইটের বদলে পাটকেল দিতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন কমিটির বৈঠকে বিশিষ্টজনদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গতকাল স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি।
মমতা এদিন বলেন, “২ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। সে যাই হোক। ওরা এর আগেও এরকম করেছে। অন্য অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলার সুযোগ পেলেও আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমার সঙ্গে অত রাজনীতি করা উচিত নয়।” এতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, আগামিকাল, শুক্রবার আরও একটি বৈঠক রয়েছে। ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদযাপন।
এদিন নবান্ন সভাঘরে বৈঠকের মাঝেই মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দ্বিবেদী, কাল আমি থাকতে পারব না। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে।” তবে মনে করা হচ্ছে, আগের দিন বৈঠকে মমতাকে বলতে না দেওয়ার কারণেই শুক্রবারের বৈঠকে তিনি থাকবেন না।
আরও পড়ুন ওমিক্রন পরিস্থিতি বুঝতে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর! সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের নতুন সুপারিশ
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও অনেক বার মোদীর ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা। ইয়াস ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের সময়ে তো মোদীর বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে বৈঠকে থাকতে চাননি তিনি। এরপর তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ঝটিকা সফরে তিনি কলাইকুন্ডা পৌঁছন এবং রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়ে চলে আসেন।
সেই বৈঠকে না থাকার জন্য কেন্দ্রের রোষে পড়েন আলাপন। তাঁকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে দিল্লি তলব করা হয়। সেই নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। বাধ্য হয়ে ইস্তফা দেন আলাপন। আর সেই মূহূর্তেই তাঁকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করে কেন্দ্রকে পাল্টা বার্তা দেন মমতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন