আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ধর্মীয় অত্যাচারের উল্লেখ থাকছে না
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়িতে ভাওইয়া শিল্পী মহম্মদ সাহাবুদ্দিন(৬৫) আত্মহত্যা করেছেন। এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, এনআরসি আতঙ্কেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। স্থানীয়দের বক্তব্য ছিল, মৃত্যুর আগের দিন টিভিতে তিনি এনআরসি নিয়ে অমিত শাহর বক্তব্য শুনছিলেন এবং কয়েকদিন ধরেই তিনি নথি সংগ্রহ করছিলেন। এদিন মেয়ো রোডের সভায় মমতা বলেন, “গতকাল জলপাইগুড়িতে এনআরসি আতঙ্কে এক শিল্পী আত্মঘাতী হয়েছেন। এই নিয়ে বাংলায় ৩০ জন মারা গেল। টিভিতে কেউ বক্তব্য রাখবেন, বক্তব্য রেখে প্ররোচনা দেবেন। সে ক্ষেত্রে এর দায়িত্ব তাঁদেরই নিতে হবে। আসামে কত জন মারা গিয়েছেন? আমদের তো রেকর্ড থাকে, ওখানে তো রেকর্ডও নেই। ওখানে হিন্দুরা বাদ গেলেন কেন”?
আরও পড়ুন- রাতে মন্ত্রীর ফোন বৈশাখীকে, ‘তুমি আছ বলেই লড়তে পারছ’
শুধু এনআরসি-ই নয়, অর্থনীতি নিয়েও দ্বিতীয় মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের জিডিপি এখন নিম্নগামী, এই তথ্য দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এমনকী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য একেবারে অগ্নিমূল্য। মমতার বক্তব্য, “অর্থনৈতিক ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ঝুলি থেকে বের করেছে এনআরসি আর ক্যাব। ক্যাব নিয়ে বলছে, হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেব, মুসলিমদের দেব না। আর এনআরসি করলে প্রথমে তো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বাদ যাবে। ক্যাব ও এনআরসির মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। এনআরসি করতে দেব না, দেব না, দেব না। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন কেন হবে? হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, জৈন-সহ সকলকে নাগরিকত্ব দিন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সমর্থন করব।”
কেন সারা দেশে এনআরসি হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতার বক্তব্য়, উত্তর পূর্ব ভারত বাদ কেন? এনআরসি ও ক্যাব ওরা মানবে না। আদিবাসী যুক্তিতে যদি উত্তর পূর্ব ভারত বাদ যায়, তাহলে এ রাজ্যেও বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী এলাকা আছে। তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন, “এককাট্টা হয়ে বুথে বুথে গিয়ে প্রচার করুন। এনআরসি এখানে করতেই দেব না। বাংলা রুখে দাঁড়াবে।”