Advertisment

লোকসভায় ঘোষণা হলেও এরাজ্যে এনআরসি নিয়ে অনড় দিলীপ

কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় জানিয়ে দিয়েছে আসাম ছাড়া কোনও রাজ্যেই এনআরসি লাগু করার কোনও প্রস্তাব নেই। তবে রাজ্য বিজেপি মনে করে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করা প্রয়োজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গুয়াহাটিতে এনআরসি সেবা কেন্দ্রে এভাবেই নিজেদের নামের খোঁজ করেছে মানুষ। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আর কোনও রাজ্যেই এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নয়, লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও এই ইস্যুতে অনড় রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "এটা আমাদের নীতিগত দাবি।" প্রায় একই মন্তব্য বিজেপির ছাত্র সংগঠনেরও।

Advertisment

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন, "১৯৫১ সালের এনআরসি, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব বিধির আওতায় আসামে পরিমার্জিত হচ্ছে। বর্তমানে আসাম ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে এনআরসি লাগু করার প্রস্তাব নেই।" এর আগে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, ত্রিপুরায় এনআরসি পরিমার্জনের কোনও প্রস্তাব নেই। সে রাজ্যে এনআরসি লাগু করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল আদালত।

আরও পড়ুন: ফের দিলীপের হুঙ্কার! পুলিশকে আবার হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতির

আসামে নাগরিক পঞ্জিতে বাদ গিয়েছিল ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে বিরোধিরা সোচ্চার হয়েছিলেন। তা নিয়ে আসাম উত্তাল হয়েছিল। রেল অবরোধ হয়েছিল এরাজ্যেও। এনআরসি ইস্যুতে আসামের শিলচর বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদলকেও। শেষমেশ পাঁচ রাজ্যে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে হারের ধাক্কা সামলাতে গিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের পরিমার্জনের সঙ্গে এনআরসি নিয়েও পিছু হটলো মোদী সরকার। ভোট বড় বালাই।

এরাজ্যে এনআরসি চালুর দাবিতে মে মাসের শেষে মেয়ো রোডে জনসভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কেন পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রয়োজন, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। অমিত শাহর সুরে সুর মিলিয়ে পথে নেমেছিল রাজ্য বিজেপিও। দলের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মূলত এনআরসির দাবিতেই কলকাতা চলোর ডাকা দিয়ে মিছিল করেছে মহানগরে। কিন্তু লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণার পরও এরাজ্যে এনআরসি প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজ্য সভাপতি।

দিলীপবাবু বলেন, "এনআরসি আমাদের দাবি, এটা নীতির ব্যাপার। চাইলেই তো আর হবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আসামে হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি অনুপ্রবেশ হয়েছে। আমরা চাইছিলাম এখানে এনআরসি চালু হোক। কিন্তু সেটা হয়নি। রাজ্যে আমাদের সরকার হলে আমরা এনআরসি চাইতে পারি।"

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে কোনও রাজ্যেই আর এনআরসি চালু হওয়া সম্ভব নয়। তবুও এনআরসি ইস্যুতে অনড় দিলীপবাবু। তাঁর মতে, "নীতিগতভাবে সরকার এটা বন্ধ রেখেছে। তবে এনআরসি চালু করার দরকার আছে বলে মনে করি।" সম্প্রতি কলকাতায় এনআরসি দাবিতেই ছাত্র সমাবেশ করেছে এবিভিপি।  ছাত্র নেতা সুবীর হালদার বলেন, "আজ না হলেও কাল এনআরসি হবেই।"

bjp nrc
Advertisment