রাজ্যে করোনাপরীক্ষা নিয়ে এবার রাজনৈতিক আকচাআকচি শুরু রাজ্যে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের যথেষ্ট পরীক্ষা হচ্ছে না রাজ্যে, এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। যদিও বিরোধীদের এইসব দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।
করোনা আক্রান্তের প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের আক্রান্ত সংখ্যা প্রকাশ ঘিরে তৈরি হয়েছিল দ্বিমত। শনিবার ফের প্রকাশ্যে এল সেই মত পার্থক্য। রাজ্য করোনা আক্রান্তের যেখানে বলা হয়েছে ২৩৩, কেন্দ্রের রিপোর্টে সেই সংখ্যা ২৮৭। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আপনি যদি রাজ্যভিত্তিক করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেন তাহলে দেখবেন এ রাজ্যেই সবচেয়ে কম র্যাপিড টেস্ট হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যেখানে কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই কিট পাঠান হয়েছে সেখানে কেন এত কম পরীক্ষা হচ্ছে তা রাজ্যসরকারই ভালো বলতে পারবে।'
আরও পড়ুন: “বুঝছি না যথেষ্ট কিট থাকলেও বাংলায় কেন বেশি করে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না!”
যদিও দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যকে নস্যাৎ করে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তৃণমূল নেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন বলেন, "আমাদের বাংলায় করোনা পরীক্ষা যথাযথভাবেই হচ্ছে। আমরা নিজেদের কাজটাই করে যাচ্ছি। সেই কারণেই অন্যান্য রাজ্যের থেকে আক্রান্তের সংখ্যায় বাংলা অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে। আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি এটার জন্য যে রাজ্যে যাতে কোনওভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি না হয়।" তিনি এও বলেন, "সংখ্যা, কাজ নিয়ে অনেক ভুয়ো তথ্য আসছে। আমরা করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছি। আর রাজ্যের বিরোধী দলগুলি তৃণমূল সরকারের সঙ্গে লড়াই করছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা না ভেবে তাঁরা যে রাজনীতি করছে তা লজ্জার।"
আরও পড়ুন: ৪০ লক্ষ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ রাজ্যগুলি
এদিকে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথাই জানালেন কলকাতার কোভিড ভাইরাস পরীক্ষাকেন্দ্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিস (নাইসেড)-এর অধিকর্তা ডা: শান্তা দত্ত বলেন, "রাজ্যে এত স্বল্প সংখ্যক করোনা পরীক্ষার কারণ কী আমি জানি না। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ কিট রয়েছে। আমাদের ল্যাবও প্রস্তুত আছে। দিনে আমরা অনায়াসে ২৫০টি টেস্ট করতেই পারি। আমরা চাইছি আরও বেশি পরীক্ষা হোক।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন