তৃণমূল যখন পর্যবেক্ষক পদের ওপর ভরসা রাখতে পারল না তখন বিজেপি তাদের পাঁচটি জোনের পর্যবেক্ষকদের নাম ঘোষণা করল। ২৩ জুলাই তৃণমূলের নতুন ঘোষিত কমিটিতে রাজ্য স্তরে কমিটির ভার বৃদ্ধি করা হলেও সংগঠন থেকে পর্যবেক্ষক শব্দটি উড়িয়ে দিয়েছে। কেন অবলুপ্তি ঘটল এই পদের তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে এখনও গুঞ্জন অব্যাহত। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক, আহ্বায়ক ও সহ আহ্বায়কদের নাম ঘোষণা করে বাড়তি দায়িত্ব দিল রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি দিল্লিতে এই নতুন ঘোষণা নিয়েই কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য নেতারা।
তৃণমূল কংগ্রেস নতুন সাংগঠনিক পরিকাঠামোতে পর্যবেক্ষক পদের অবলুপ্তি ঘটিয়েছে। তার পরিবর্তে জেলা স্তরের নেতাদের বিধানসভা ভিত্তিক কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করেছে। শুক্রবার বিজেপি রাজ্যের জোন ভিত্তিক পর্যবেক্ষকদের নাম ঘোষণা করল। রাজ্যের সাংগঠনিক কর্তাদেরই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পদ্ম শিবির জোন আহ্বায়ক ও সহআহ্বায়কদের নাম ঘোষণা করেছে।
রাজ্যে বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জোন রয়েছে। রাজ্যের দুই সহভাপতি ও তিন সাধারণ সম্পাদককে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, কলকাতা জোনে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংকে। উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক হয়েছেন আরেক সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাঢ় বঙ্গে সহসভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, নবদ্বীপ জোনে সহসভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতকে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে হুগলী-হাওড়া-মেদিনীপুর জোনে।
কলকাতা ও রাঢ় বঙ্গে এক জন করে আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করেছে রাজ্য বিজেপি। অন্যদিকে বাকি তিনটে জোনে আহ্বায়কের সঙ্গে সহআহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উত্তরবঙ্গে সহআহ্বায়ক করা হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। এদিকে এদিন বিজেপির ওবিসি মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুভাষ মন্ডলকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুনরজ