কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর একাধিক প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৩৫০ কোটির বেশি নগদ। এত বিপূল পরিমাণ টাকা দেখে চোখ কপালে আয়কর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদেরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলমারিতে ঠাসা নোটের ছবি ভাইরাল। তা নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদীও এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে কোনঠাসা করেছেন।
Advertisment
রবিবার গণনা শেষ হওয়ার পর আয়কর আধিকারিকরা জানিয়েছেন মোট ৩৫৩ কোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টিতে কংগ্রেস সাংসদের জড়িত থাকার বিষয়ে এটি একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হয়েছে। আয়কর বিভাগ বুধবার থেকে শাহু'র একের পর এক আস্তানায় তল্লাশি চালায়। গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকরা ভেবেছিলেন গণনা এক বা দুই দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিন্তু টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে তা সম্ভব হয় নি।
ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের প্রাঙ্গনে আইটি অভিযান চালানো হয়। সাংসদ বা সংস্থার তরফে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন বিবৃতি মেলেনি। কংগ্রেসও ইতিমধ্যেই সাংসদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ বলেন,'এত বিপুল পরিমাণ নগদ সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত'।
আয়কর বিভাগ এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রায় ৮০ জনের নয়টি দল গণনায় জড়িত ছিলেন এবং তারা 24X7 শিফটে কাজ করেছিলেন। এর মধ্যেই বিজেপির অমিত মালব্য ধীরজ সাহুর পুরানো টুইটের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে 'নোটবন্দীকরণের পরেও দেশে কত কালো টাকা রয়েছে'। মালব্য টুইট করেছেন, "ধীরজ প্রসাদ সাহুর রসবোধ খুব ভাল।"
কংগ্রেস সাংসদ নোট বাতিলের পর লিখেছেন, 'নোট বাতিলের পরেও দেশে এত দুর্নীতি এবং কালো টাকা দেখে আমি দুঃখিত। লোকেরা কীভাবে এত কালো টাকা জমা করতে পারে তা আমার বোধগম্যতার বাইরে '।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার এই বিষয়ে কথা বলেছেন এবং তিনি এসপি, ডিএমকে, জেডিইউ-এর মতো দলগুলির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অমিত শাহ বলেন, "এখন বোঝা যাচ্ছে কেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।" প্রধানমন্ত্রী মোদীও এর আগেও নগদ বিপুল পুনরুদ্ধারের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর গ্যারান্টি যে প্রতিটি পয়সা জনসাধারণের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।