লাভজনক পদ বিতর্কে ২৭ বিধায়কের পদ টিকে রইল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সৌজন্যে

২০১৬ সালে লাভজনক পদে থাকার অভিযোগে ২৭জন আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন।

২০১৬ সালে লাভজনক পদে থাকার অভিযোগে ২৭জন আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

২৭ আপ বিধায়কের পদ টিকে রইল

আম আদমি পার্টির পক্ষে বিশাল স্বস্তি। তাঁদের স্বস্তি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। লাভজনক পদ মামলায় ২৭ জন আপ বিধায়কের পদ খারিজের আবেদন ফিরিয়ে দিলেন তিনি। এই ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এঁরা দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত।

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করা এই নির্দেশের একটি প্রতিলিপি এসেছে। সে নির্দেশে  নির্বাচন কমিশন মত দিয়েছে যে এই আবেদনের কোনও মূল্য নেই। এ ধরনের আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়ে থাকে যিনি তা নির্বাচনী প্যানেলের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে থাকেন। নির্বাচন কমিশন এর ভিত্তিতে মতামত দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন, সিবিআই-এর রদবদল প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি মল্লিকার্জুন খাড়গের

Advertisment

২০১৬ সালে লাভজনক পদে থাকার অভিযোগে ২৭জন আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগকারীর বক্তব্য ছিল, এঁরা সকলে আইন না মেনে দিল্লির বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদে রয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছিল, ‘‘২০০৯ সালে দিল্লি সরকার তার এক্সিকিউটিভ বা স্ট্যান্ডিং কমিটির আদেশবলে সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করে এবং সবরকম বিধিভঙ্গ করে স্থানীয় বিধায়কদের ওই সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসায়। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন হিসেবে বিধায়কদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি।’’

দিল্লি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর শীলা দীক্ষিত মন্ত্রিসভা রোগী কল্যাণ সমিতি তৈরি করে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সংসদে বলেন, স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদরাই হবেন ওই কমিটির চেয়ারম্যান।

দিল্লি সরকারের সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য যোজনার ওয়েবসাইটে স্পষ্ট বলা আছে যে সাংসদ-বিধায়করা চেয়ারম্যান বা সদস্য হতে পারবেন।

delhi AAP