নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে ও থাকবে, তবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কাদের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বেশ কয়েকটি মহল থেকে ওঠা এই জল্পনার অবসান ঘটালেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। রবিবারই বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। সেই বৈঠকের আগেই সোনিয়া-রাহুলদের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন সুরজেওয়ালা।
রবিবারের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে একাধিক সংবাদমাধ্যমে। সংবাদসংস্থা এনডিটিভি জানিয়েছিল, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে থাকা এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা পদ ছাড়তে চলেছেন। এনডিটিভির এই প্রতিবেদনটিকে 'ভুল' এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে কাল্পনিক উত্স থেকে উদ্ভূত বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলবে। হারের কারণ ব্যাখ্যা করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও। উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কোনও পদে নেই। তবে সোনিয়া গান্ধী দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী।
আরও পড়ুন- এবার পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলার তীব্র সমালোচনা আরএসএসের মুখেও
এই বছরের শেষের দিকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এআইসিসি সভাপতি পদের জন্য এই বছরের ২১ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলের কিছু নেতা অবশ্য বলেছেন, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচনের সময়সূচী এগিয়ে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে বদলের দাবি উঠছে। একের পর এক রাজ্যে দলের ভরাডুবির জন্য শীর্ষ নেতাদের ভূমিকাকেই দায়ী করছেন দলের প্রবীণ নেতাদের একাংশ। এর আগে ২০২০ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বে বদল চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন জি-২৩-এর নেতারা। তাঁরা আলাদাভাবে দলের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকও করেছিলেন।
Read full story in English