Advertisment

One Nation, One Election: যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর প্রভাব, 'এক দেশ এক নির্বাচনের' বিরোধীতায় ১৫ রাজনৈতিক দল

পক্ষে ৩২টি দলের মধ্যে মাত্র ২টি জাতীয় দল, যার মধ্যে রয়েছে বিজেপি এবং তার মিত্র এনপিপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kovind One Nation One Election report

এক জাতি, এক নির্বাচন সংক্রান্ত উচ্চ-স্তরের কমিটির চেয়ারম্যান রাম নাথ কোবিন্দ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন। (ছবি: পিটিআই)

এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে ১৮,৬২৬ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দিয়েছে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ।

Advertisment

২৪-এর নির্বাচনের আগেই দেশ জুড়ে কার্যকর করা হয়েছে সিএএ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে এই বিষয়ে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিটির তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ১৮, ৬২৬পাতার একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত এই প্যানেল ১৯১ দিনে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই প্যানেলটি ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ গঠন করা হয়েছিল।

যে গত সেপ্টেম্বরে গঠিত কমিটিকে সাংবিধানিক কাঠামোর ভিত্তিতে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের জন্য একযোগে নির্বাচনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে তা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধীদল নেতা গুলাম নবি আজাদ, অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এন.কে. সিং, লোকসভার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কাশ্যপ এবং সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভেও রয়েছেন এই কমিটিতে। কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী সরে দাঁড়ান?

লোকসভার বিরোধী দল নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও কমিটির সদস্য করা হয়েছিল কিন্তু তিনি এই কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান। সূত্রের খবর, এক দেশ এক নির্বাচন কার্যকর হয়, তবে লোকসভা এবং রাজ্যগুলির নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।

এক দেশ এক নির্বাচনের পেছনে যুক্তি কী?

এক দেশ, এক নির্বাচনের পিছনে যুক্তি হল ভারতে প্রতি বছর কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয়। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভা থেকে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচন। এক্ষেত্রে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বারবার বলবৎ করতে হয়। নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীদের বারবার নির্বাচন সংক্রান্ত কর্তব্যে নিযুক্ত করতে হয়। এসবের ফলে থমকে যায় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে সরকার কর্তৃক গঠিত উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে যে রিপোর্ট আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে তুলে দিয়েছে তাতে মোট ৪৭টি রাজনৈতিক দলের মতামতের উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে ৩২টি রাজনৈতিক দল এই এক দেশ এক নির্বাচন ধারণাকে সমর্থন করলেও ১৫ টি দল এই ধারণার বিরোধীতা করে। যে দলগুলি একযোগে এই পদ্ধতিকে সমর্থন করেছিল, তাদের মধ্যে মাত্র দুটি জাতীয় দল - বিজেপি এবং কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), যা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র অংশ।

অন্য চারটি দল - কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং সিপিআই(এম) - একযোগে এক দেশ এক নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল। প্যানেলটি মোট ৩২ টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছিল এবং ১৮ দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত মতবিনিময় করেছে।

বিজেপি এবং এনপিপি ছাড়াও যে দলগুলো একযোগে এক দেশ এক নির্বাচনকে সমর্থন করেছিল তাদের মধ্যে রয়েছে AIADMK; বিজেপি জোট অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ), আপনা দল, অসম গণ পরিষদ, লোক জনশক্তি পার্টি (আর), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (নাগাল্যান্ডের), সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল অফ অসম, JD(U), বিজু জনতা দল, শিবসেনা এবং আকালি দল।

একযোগে নির্বাচনের বিরোধিতাকারী দলগুলির মধ্যে রয়েছে, চারটি জাতীয় দল ছাড়াও, এআইইউডিএফ, তৃণমূল কংগ্রেস, এআইএমআইএম, সিপিআই, ডিএমকে, নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি)।

আরও পড়ুন : < Drunk Taxi Driver: ভরা বাজারে মদ্যপ গাড়ি চালকের বেপোরোয়া তাণ্ডব, দেখুন হাড়হিম সেই ভিডিও >

আরও পড়ুন : < Election Commissioner: নয়া ২ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সিলমোহর! পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন অধীরের >

আরও পড়ুন : < OTT Platforms Block: মোদী সরকারের ‘ডিজিটাল’ সবক! একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা >

Election
Advertisment