Advertisment

চড়ছে পারদ, নির্বাচনী উত্তাপে ফুটছে কর্ণাটক! গেরুয়া ঝড় ঠেকাতে সুক্ষ চালে বাজিমাত কংগ্রেসের

কংগ্রেস জানে নির্বাচনে জয় মোটেও সহজ নয়। এর জন্য একাধিক বড় প্রতিশ্রুতি সামনে রেখেছে দল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
karnataka polls, karnataka polls pm modi, karnataka polls congress terrorist appeasement, pm modi karnataka rally speech, pm modi congress attack, pm modi karnataka polls, karnataka polls 2023, karnataka news, indian express"

নির্বাচনী উত্তাপে ফুটছে কর্ণাটক, মোদী মন্ত্রে বাজিমাতের স্বপ্নে বাঁধা কংগ্রেসের সংরক্ষণ ইস্যু? অপেক্ষা মাত্র ক’টা দিনের

‘অপারেশন লোটাস সব সময় সফল হতে পারে না…! বিজেপি যদি আবার চেষ্টা করে, তবে শোচনীয়ভাবে তা ব্যর্থ হবে’ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘১০ ই মে রাজ্যে যে ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তাতে কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে’।

Advertisment

এদিকে কর্ণাটকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপিও। সামনেই কর্ণাটক নির্বাচন! তার আগে রবিবার কোলারে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই সমাবেশ থেকে তিনি বিরোধীদের তীব্র নিশানা করেন। জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি প্রথমে সেখানে উপস্থিত জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান। কংগ্রেস ও জেডিএসকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘এই দুই দলই কর্ণাটকের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘এই দুই দলকে একসঙ্গে  ক্লিন বোল্ট করতে চলেছে কর্ণাটকের মানুষ’।

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কোলারে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে, কংগ্রেস-জেডিএস-কে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, যে যতদিন এখানে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ছিল, কর্ণাটকের উন্নয়ন থমকে ছিল। বিজেপির সংকল্প কর্ণাটককে ভারতের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করা। তিনি আরও বলেছিলেন যে কর্ণাটকের এই নির্বাচনটি কেবল আগামী পাঁচ বছরের জন্য এমপি, মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য নয়, বরং আগামী ২৫ বছরে একটি উন্নত ভারতের রোডম্যাপের ভিত্তি মজবুত করার নির্বাচন।

প্রধানমন্ত্রী মোদির মতে, কর্ণাটকের উন্নয়নের জন্য রাজ্যে একটি ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন। ডবল ইঞ্জিন সরকার আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইবে বলেও দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, আধুনিক সংযোগের জন্য ডাবল ইঞ্জিন সরকার যে কাজ করছে তা সমগ্র অঞ্চলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে এখানকার কৃষি এবং শিল্প উভয়ের জন্যই নতুন সুযোগ প্রদান করবে।

জনসাধারণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমাকে নিশানা করছেন কংগ্রেসের নেতারা তাতে আখেরে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে। কেউ বলছেন মোদীর কবর খুঁড়বেন, আবার কেউ সাপের সঙ্গে তুলনা করছেন আমায়”। কোলারে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, “কংগ্রেসের পরিচয় হল ৮৫ শতাংশ কমিশনের দল। তিনি বলেন, বিজেপি তুষ্টির পরিবর্তে সমস্ত মানুষের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। “কংগ্রেস কেবল দুর্নীতিতে  উন্নতি করে চলেছে। এ কারণে তারা দুর্নীতির তদন্ত হোক সেটা চায় না”। গান্ধী পরিবারের কথা উল্লেখ করে মোদী এদিন বলেন, ‘যেহেতু দলের শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিতে জড়িত, তাই কংগ্রেস দুর্নীতিবিরোধী হতে পারে না। একমাত্র বিজেপিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেখাতে পারে,”।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘বিজেপি মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। দলের নেতারা দলত্যাগ করে কংগ্রেসে আসছেন। তিনি বলেন, “আমরা ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম, এবং যদিও আমরা তখন বিজেপির থেকে আমরা বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসি। তারপর মানুষ আমাদের চাইনি তাই সরকারে থাকতে পারিনি। তবে এবারের নির্বাচন একেবারে আলাদা। জাতীয় রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকেও আসন্ন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এই নির্বাচনে জয়ী হই, তাহলে জাতীয় রাজনীতির জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন’।

কর্ণাটক বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শুক্রবার বলেছেন যে কর্ণাটক কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে তার সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ তাদের মধ্যে কোনও মত পার্থক্য নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন হবে তার শেষ নির্বাচনী লড়াই’।

সিদ্দারামাইয়া বলেছেন যে আমি বরুণা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি কারণ আমার আমার জন্মভিটে ওই বিধান্সভা এলাকাতেই। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার শেষ নির্বাচনী লড়াই’।

তিমি বলেন, “আমি বরুণা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি কারণ দলীয় হাইকমান্ড এটাই অনুমোদন করেছে,”। সিদ্দারামাইয়া বলেন, কংগ্রেস এবার নির্বাচনে ১৩০ টিরও বেশি আসন জিতবে বলেই আশা। কংগ্রেসযথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফের একবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বলেও আশাবাদী তিনি।

রাজ্যে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। এনিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সংরক্ষণ নিষিদ্ধ সাংবিধানিক পদক্ষেপ নয়।” এটা গ্রহণযোগ্য নয়…! ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ বাড়াতে আমাদের কোন আপত্তি নেই, তা বলে কেন মুসলমানদের সংরক্ষণ কমিয়ে দেওয়া হল? তিনি আরও বলেন, এটা স্পষ্টভাবেই বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির পরিচয়”।

আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের লড়াইয়ের ইস্যু প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া বলেন, “এই সরকারের আমলে একের পর দুর্নীতি সামনে এসেছে। কর্ণাটকের ইতিহাসে এবং আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারে আমি এমন সরকার দেখিনি। প্রতিটি কাজের জন্য ঘুষ এবং কমিশন দাবি করে এই সরকার”।

তিনি কংগ্রেস সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন বলেন, ‘আমরা পাঁচ বছরে ১৫ লাখ বাড়ি তৈরি করেছি। এই সরকার যাদের ঘর নেই তাদের একটি ঘরও দেয়নি এই সরকার গরিবদের জন্য কিছুই করেনি”। সরাসরি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থ হবে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’! বিজেপি চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারে’।

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র সাত দিন বাকি। এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পর কংগ্রেসও তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। দুই দলের তরফেও একাধিক প্রতিশ্রুতি মিলেছে আবার প্রশ্ন উঠেছে একে অপরের ঘোষণা নিয়েও। বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে নাম দিয়েছে 'প্রজা ধ্বনি'। একই সঙ্গে কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির নাম দিয়েছে 'সংকল্প পত্র'।

বিজেপির ইস্তেহারে দরিদ্রদের জন্য বছরে তিনবার বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে শুরু করে কৃষক, মহিলা এবং শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের ঘোষণায়, প্রতিটি মহিলা পরিবারের প্রধানকে প্রতি মাসে ২০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ থেকে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেসও বিদ্বেষী সংগঠন নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম বজরং দলের। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন কংগ্রেস বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল? ১০ মে রয়েছে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সদ্য কংগ্রেস প্রকাশ করেছে তাদের দলীয় ইস্তেহার। সেই ইস্তেহারেই উল্লেখ রয়েছে যে, যদি কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার আসে, তাহলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও কংগ্রেস জানিয়েছে, বজরংদল, পিএএফআইয়ের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে তারা কড়া পদক্ষেপ নেবে। কংগ্রেস , বজরং দল ও পিএফআউকে একই সারিতে বসিয়ে তুলনা টেনেছে। যে বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিশ্বহিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, তারা কংগ্রেসের এই ভোট- প্রতিশ্রুতিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসাবে দেখছে, এবং এর জবাব ‘গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে দেওয়া হবে বলেও দাবি করেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।

আরও পড়ুন: < ২০১২-তেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে, কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বিস্ফোরক ‘সোনার মেয়ে সাক্ষী’ >

মুসলিমদের জন্য ৪% কোটা পুনরায় চালু করা, পুরোনো পেনশন প্রকল্প (ওপিএস) ফেরানো, ক্ষমতায় এসে বিজেপি সরকারের চালু করা যাবতীয় অন্যায় আইন এবং জনবিরোধী আইন বাতিল করা, সংরক্ষণের সর্বোচ্চ সীমা ৫০% থেকে ৭৫% করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মঙ্গলবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রকাশিত এই ইশতেহারে কংগ্রেস জানিয়েছে যে তারা সংবিধানের নবম তফসিলে সংরক্ষণের সীমা বৃদ্ধির জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।

পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে আইনসভার প্রথম অধিবেশনে আর্থ-সামাজিক ও বর্ণ সুমারি প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এসসি, এসটি, ওবিসি, সংখ্যালঘু, লিঙ্গায়েত এবং ভোক্কালিগাদের মত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সংরক্ষণের সীমা ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৭৫% করা হবে। এসসিদের সংরক্ষণ ১৫% থেকে বাড়িয়ে ১৭%, এসটিদের সংরক্ষণ ৩% থেকে বাড়িয়ে ৭% করা হবে। সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ ৪% পুনরায় লাগু করা হবে। এর সঙ্গে লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগা এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্যও সংরক্ষণ বৃদ্ধি করা হবে।’

কর্ণাটকের বর্তমান বিজেপি সরকার তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের (এসটি) জন্য সংরক্ষণে জোর দিয়েছে। ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়েতদের জন্য সংরক্ষণ বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ বাতিল করেছে। আর, এগুলোকেই তাদের ভোটের প্রচারে গুরুত্ব দিয়েছে। বিভিন্ন সেচ প্রকল্পের জন্য ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করার জন্য ঠিকাদাররা যাতে নিয়মমাফিক অর্থ পান, তা নিশ্চিত করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করলেও যে তিনটি কৃষি আইন কর্ণাটকে এখনও বলবৎ রয়েছে, তা বাতিল করা হবে বলেই ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

বছরে তিনবার গরিবদের বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির ইস্তেহারে বলা হয়েছে, উগাদি, গণেশ চতুর্থী এবং দীপাবলিতে এই সিলিন্ডার দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি কর্ণাটকের প্রতিটি ওয়ার্ডে অটল আহার কেন্দ্র খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। এর মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য সস্তা ও ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

বিজেপি তার নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষণা করেছে যে তাদের দল নির্বাচনে জিতলে বিপিএল কার্ডধারীদের পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন আধ লিটার নন্দিনী মিল্ক দেওয়া হবে। নন্দিনী মিল্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে তুমুল রাজনীতি চলছে। ১০ লক্ষ গরীবকে ঘর, দলিত মহিলাদের নামে ১০ হাজারের এফডি, প্রতি মাসে গরিবদের ৫ কেজি রেশন, রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানী বিধি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পদ্মশিবির। বিজেপির বড় প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে রয়েছে পাঁচ লক্ষ পর্যন্ত ঋণের উপর কোনও সুদ না নেওয়া, কৃষকদের বীজের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া এবং বছরে একবার প্রবীণ নাগরিকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেস জানে নির্বাচনে জয় মোটেও সহজ নয়। এর জন্য একাধিক বড় প্রতিশ্রুতি সামনে রেখেছে দল। ঠিক এই কারণেই এবারের ইস্তেহারে মহিলা ও যুবকদের মন জিততে ভাতা ঘোষণা করেছে দল। সবচেয়ে বড় বাজি হল সংরক্ষণের হার বাড়ানো।

একই সঙ্গে গরিব শ্রেণির জন্য বিজেপি অনেক ঘোষণা সামনে এনেছে। চার শতাংশ মুসলিম সংরক্ষণ বাতিল করে বিজেপি দলিত-ওবিসি এবং অন্যান্য শ্রেণির সংরক্ষণে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিজেপির এই বাজির মোকাবিলায় কংগ্রেস সংরক্ষণের পরিধি ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার ঘোষণা করেছে।

karnataka elections
Advertisment