চোঙার শব্দে কান ঝালাপালা হয়েছে, তবু সহ্য করতে হয়েছে। যানজটে পড়ে সাধারণ মানুষ হয়রান হয়েছে, তবু মুখে কুলুপ আঁটতে হয়েছে। তবে এবার রাজনীতির প্রচারের ধরনও বদলে গেল। করোনা ভাইরাসের দাপটে দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। শুধু দলীয় বৈঠক বা সাংবাদিক বৈঠক নয়, এবার বড় জনসভার আয়োজনও হচ্ছে ডিজিট্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে। কারণ, সামাজির দূরত্ববিধি মানতে এছাড়া অন্য উপায়ও নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম দফার লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে সারা দেশের সঙ্গে এই রাজ্য। চিন্তা, চেতনা, আলোচনা, খাওয়া-দাওয়া সবই ছিল করোনা কেন্দ্রিক। এমন কোনও বিষয় ঘটেনি যাতে করোনার যোগ ছিল না। স্বভাবতই রাজনৈতিক নেতৃত্বও এ নিয়ে টু শব্দটি করেনি। কিন্তু কিছু দিন কাটতেই যথারীতি রাজনীতিকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন ২০২১-কে সামনে রেখে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস, দুই যুযুধান পক্ষই একেবারে সম্মুখ সমরে। কিন্তু প্লাটফর্ম ভিন্ন। মাঠে-ময়দানে নয় মাধ্যম এখন সোশাল মিডিয়া। কে কাকে টেক্কা দিতে পারে চলছে সেই প্রতিযোগিতা।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ডিজিট্যাল মাধ্যমকে ভর করে বেশ কয়েকটি দলীয় বৈঠক সেরেছেন। কোনও কোনও বৈঠকে পাঁচশোর ওপরও দলীয় নেতৃত্ব হাজির থেকেছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্দেশও দিয়েছেন। এমনকী কোনও জেলা তৃণমূল সভাপতি জুম অ্যাপের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। যুম ভিডিওতে এক সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে থেকেছেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। এসবের পর এবার সোশাল মিডিয়ায় বড়সড় জনসভার ডাক দিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির আইটি সেলের কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক বিষয়ে নানা সময়ে অভিযোগ করেছে। দেশের রাজনীতিতে এই আইটি সেল নিয়ে যথেষ্ট চর্চাও জারি রয়েছে। এবার বিশাল অনলাইন জনসভার ডাক দিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। ৯ জুন সকালে ১১টায় বঙ্গ বিজেপির এই জনসভায় প্রধান বক্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জনসভার প্রচারের স্থান হিসাবে সোশাল মিডিয়ার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। এই জনসভার মাধ্যমে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে দিশা দেবেন পূর্বতন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি। এই সভায় নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকতে পারে।