/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/supreme_court.jpg)
সুপ্রিম কোর্টের পিএমএলএ নিয়ে রায় 'বিপজ্জনক'। এই অভিযোগ জানিয়ে রায়ের পর্যালোচনা চাইল ১৭টি বিরোধী দল। এক যৌথ বিবৃতিতে বিরোধী দলগুলো জানিয়েছে যে এই রায় সরকারের হাতই শক্ত করবে। বিরোধীদের প্রতি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে প্রশ্রয় দেবে। যার বলে বলীয়ান হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে আরও বেশি করে বিরোধীদের একের পর এক নিশানা করবে সরকার।
বিরোধীরা আশা প্রকাশ করেছেন, যে শীঘ্রই এই নির্দেশ বাতিল হবে। এর আগে কংগ্রেস বলেছিল যে সুপ্রিম কোর্টের আর্থিক নয়ছয় আইনের বৈধতা বহাল রাখা নিয়ে রায় ভারতীয় গণতন্ত্রের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। এবার কংগ্রেসের সেই বক্তব্যে যোগ দিল অন্যান্য বিরোধীরাও। এই ব্যাপারে বিরোধীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত মানেই অপরাধী নয়। এই ভাবনাকে মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু, সেই ভাবনাই তহবিল তছরুপ আইনে লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারপরও সুপ্রিম কোর্ট তহবিল তছরুপ আইনের খারাপ দিকগুলোকে বহাল রেখেছে।
17 Opposition parties, including TMC & AAP, plus one independent Rajya Sabha MP, have signed a joint statement expressing deep apprehensions on long-term implications of the recent Supreme Court judgement upholding amendments to PMLA,2002 and called for its review. The statement: pic.twitter.com/vmhtxRHAnl
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) August 3, 2022
পাশাপাশি গ্রেফতার, সম্পত্তির সংযুক্তিকরণ, অনুসন্ধান এবং বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে অভিযুক্তকে নির্দোষ ভাবার যে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ, সেটা এই ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না। মোদী সরকারের সেই কথাই আদালত মেনে নিয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।
এই ব্যাপারে বিরোধী দলগুলো যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমরা সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে গভীরভাবে শঙ্কিত। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২ এর সংশোধনীগুলো কোনও ভাবে বাতিল করা যেতে পারে কিনা তা বিবেচনা না-করেই আইনগুলো বহাল রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।'
আরও পড়ুন- শিবসেনার আইনি যুদ্ধ চরমে, শিণ্ডেরা দলত্যাগী না-বিদ্রোহী তা নিয়ে উত্তপ্ত শুনানি
একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলো জানিয়েছে, তারা মনে করে যে, 'আদালতের সম্মান সর্বোচ্চ। কিন্তু, উচ্চতর বেঞ্চে এই অর্থ আইনের সাংবিধানিক ভিত্তি পরীক্ষা করা উচিত ছিল। তার জন্য অপেক্ষা না-করেই রায় দিয়েছে আদালত।' যৌথ বিবৃতিতে কংগ্রেস ছাড়াও স্বাক্ষর করেছে টিএমসি, ডিএমকে, আপ, এনসিপি, শিবসেনা, সিপিআই(এম-এল), সিপিআই, আরএসপি, এমডিএমকে, আরজেডি, আরএলডির মতো দলগুলো।
Read full story in English