শ্যাম রাখি না-কূল! এনিয়ে এখন দোটানায় হরিয়ানার বিজেপি সরকার। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিকদের মত অলিম্পিয়ান কুস্তিগীররা। এই প্রতিবাদে অভিভাবকরা তো বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করছেনই। পাশে আবার দাঁড়িয়েছে হরিয়ানার ফোগত খাপ পঞ্চায়েত।
এই ফোগত খাপের বেশিরভাগই আবার কুস্তিগীর। আর, তার মধ্যে বেশিরভাগই হরিয়ানার বাসিন্দা। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে তাঁরা দিল্লির যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। হরিয়ানায় মনোহরলাল খট্টরের নেতৃত্বে চলছে বিজেপি সরকার। তাকে চাপে রাখতে স্বভাবতই বিরোধীরা বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের সমর্থন করেছেন। যাতে বেকায়দায় খট্টর সরকারও বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারী কুস্তিগীরদের পাশেই দাঁড়িয়েছে। আর, সেই সমর্থন বিজেপি সংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে।
খট্টরদের সমস্যা এতেই মেটেনি। হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার চরখি দাদরির ফোগত খাপ তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে সর্ব খাপ বা সমস্ত খাপ পঞ্চায়েতকে ডেকেছে। সেখানেই আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। এই ব্যাপারে ফোগত খাপের সভাপতি বলওয়ান্ত নম্বরদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চরখি দাদরির স্বামী দয়াল ধামে একটি সর্ব খাপ পঞ্চায়েতের আহ্বান করা হবে। বলওয়ান্ত বলেন, 'আমরা এই বৈঠকের পর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঘোষণা করব।'
আরও পড়ুন- বিজেপিতে ব্রাত্য বরুণ কংগ্রেসে যোগদানে নারাজ, কারণটা খোলসা করলেন দাদা রাহুল গান্ধী
কুস্তিগীর পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের সমর্থনে দিল্লি যাবেন। প্রখ্যাত কুস্তিগীর এবং বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগত ইতিমধ্যেই দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি তাঁর খুড়তুতো ভাই ভিনেশকে সমর্থন জানাতেই দিল্লি গিয়েছেন। ববিতা অন্যান্য আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁরা ঠিক জায়গায় সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। অবশ্যই এর প্রতিকার করা হবে। ববিতার বাবা এবং দ্রোণাচার্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মহাবীর ফোগত এবং ভাই হরবিন্দরও দিল্লি পৌঁছেছেন। মহাবীর ফোগত আবার ইতিমধ্যেই ডব্লিউএফআই সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের সন্দেহজনক ভূমিকার নিন্দা করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে প্রথমে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কিন্তু, বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সুর চড়াতেই তিনি মুখ খুলেছেন। খট্টর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।
Read full story in English