'ভারত জোড়ো' যাত্রা আশাতীত সাফল্য পেয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রতিদিনই তাঁর দীর্ঘ পদযাত্রায় দেশের অসংখ্য মানুষের সঙ্গে মোলাকাত করছেন। এই কর্মসূচি কংগ্রেসকে তাদের জনভিত্তি ফিরে পেতে সাহায্য করছে। এমনই ধারণা দলের হাইকমান্ড এবং তাঁদের পরবর্তী স্তরের নেতাদের। সেই কথা মাথায় রেখে এবার বিরোধী জোট নিয়ে অবস্থান কড়া করা শুরু করল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, কংগ্রেসের স্বার্থ বন্ধক রেখে কোনও বিরোধী জোটের রাস্তায় দল হাঁটবে না।
আর সেটা যে তাদের মনের কথা, বৃহস্পতিবারই বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিরোধী জোটকে কার্যত পথে বসিয়ে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেস, কেরলের সিপিএম এবং দিল্লি ও পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের জন্য তাঁরা যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'এককভাবে দায়ী' করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে কেরলে সিপিএম এবং বিজেপি আসলে একই মুদ্রার দুটি দিক।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের পতনের পর থেকে কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী ঐক্য শক্তিশালী করার কাজে মন দিয়েছিল। এজন্য দলকে নানা স্বার্থত্যাগও করতে হয়েছে। কিন্তু, সেটা কংগ্রেস দুর্বল থাকার জন্য করেছে। জনভিত্তি ক্ষয়িষ্ণু হওয়ার জন্য করেছে। সেই পরিস্থিতি 'ভারত জোড়ো' যাত্রা বদলে দিয়েছে বলেই দলীয় নেতৃত্বের বিশ্বাস। এই কর্মসূচিতে যেভাবে জনসমর্থন পাচ্ছেন নেতৃত্ব, তা দেখেই নতুন অবস্থান স্পষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের নেতারা। হাইকমান্ড মনে করছে, আঞ্চলিক দলগুলোর মূল লক্ষ্য কংগ্রেসকে দুর্বল করা। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বী এই সব দলগুলোর সঙ্গে তাই জোটের স্বার্থরক্ষায় দলীয় অবস্থানকে দুর্বল করা অনুচিত।
আরও পড়ুন- বিরাট সাফল্য কলকাতা পুলিশের! বাংলাদেশে ব্লগার খুনে অভিযুক্ত আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতার
বাম দলগুলো অবশ্য ইতিমধ্যেই 'ভারত জোড়ো' যাত্রার তীব্র সমালোচনা করেছে। বামেরা অভিযোগ করেছে, কর্মসূচিতে রাহুল গান্ধী বামশাসিত কেরলের চেয়ে উত্তরপ্রদেশে বেশি সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পালটা সাংবাদিক বৈঠকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, 'ভারত জোড়ো' যাত্রা বিরোধীদের ঐক্যের যাত্রা নয়।
রমেশ বলেন, 'ভারত জোড় যাত্রা কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করার যাত্রা। শক্তিশালী কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী ঐক্য থাকতে পারে না। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চায় এমন কোনও রাজনৈতিক দলের মনে করার কোনও কারণ নেই যে জোট মানেই তাঁরা কংগ্রেসের থেকে সবকিছু নিয়েছেন। আর, কংগ্রেসকে কিছুই দেবেন না। এখনও পর্যন্ত যেটা দেখা গিয়েছে, তা হল সব বিরোধী দলই কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে।'
Read full story in English