আভাস ছিলই। এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করল বিরোধী জোট। কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈ মণিপুর ইস্যুতে লোকসভা স্পিকারের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের বিষয়ে একটি নোটিশ জমা দিয়েছেন। মণিপুর ইস্যুতে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) নেতা নাগেশ্বর রাও লোক্সভার স্পিকারের কাছে একটি পৃথক অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। ৫০ জন সাংসদ প্রস্তাবের পক্ষে থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে যে কোন দিনই বেছে নেওয়া হতে পারে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য। মণিপুর ইস্যুতে সরগরম হয়ে উঠেছে সংসদ ভবন। লোকসভার কার্যক্রম দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, "বিরোধী দলগুলি আগামীকাল লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে।" “আজ, এএই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করার জন্য বিরোধীদের দাবি, সরকার গ্রহণ করছে না। এর ফলে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা ছাড়া আমাদের আর কোন বিকল্প নেই। মণিপুরের হিংসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত কারণ তিনি সংসদে আমাদের নেতা,”। তিনি আজ বলেন, “ গগৈ, উত্তর-পূর্ব থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চান তাঁর সরকার মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে৷
সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই বিরোধী দলগুলি মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে আসছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার মণিপুরে চলমান হিংসা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিবৃতি দাবি করার বিষয়ে বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করেন। মণিপুর নিয়ে স্লোগানের মাঝেই অমিত শাহ বলেন, "যারা এখন স্লোগান দিচ্ছেন, তারা কোনরকম সহযোগিতায় আগ্রহী নন। তারা দলিত বা মহিলাদের কল্যাণেও আগ্রহী নন। আমি আবারও বলতে চাই যে আমি আজ উভয় কক্ষে কোনও ধরণের দীর্ঘ আলোচনার জন্য প্রস্তুত।"
মণিপুরে দুই মহিলার নগ্ন ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ২০ শে জুলাই শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই মণিপুর ইস্যুতে বিরোধী দলগুলি মোদী সরকারকে তীব্র নিশানা করে। তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি এবং মণিপুতে হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানান। জানা গিয়েছে ‘ইণ্ডিয়া’ জোটের ২৬টি দলের নেতারাও কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধীদল নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের অফিসে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। কারণ অনাস্থা প্রস্তাবকে হাউসে গৃহীত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫০ বা তার বেশি সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।