নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এ দিন মুম্বইতে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যেতে পারেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই দিনেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে তলব করায় ইডির উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছে জোড়-ফুল শিবির। এবার অভিষেকের বিষয়টিকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে একই প্রশ্ন ওঠালো 'ইন্ডিয়া' জোট। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই যে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব রয়েছে সেই বার্তা তুলে ধরা হল। শুধু তাই নয়, এই ধারণা পোক্ত করতে সমন্বয় কমিটির তরফে এ দিন পদক্ষেপও করা হয়।
তৃণমূলের অভিষেকের মতই 'ইন্ডিয়া'র সমন্বয় কমিটির সদস্য শিবসেনা'র (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) সঞ্জয় রাউত। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকারে দেওয়ার সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে থাকার বিষয়টি খোলসা করেছেন সঞ্জয় রাউত।
কী বলেছেন সঞ্জয়?
'অভিষেক আজ বৈঠকে থাকতে পারলেন না, কারণ ইডি আর বিজেপি তেমনটা চায়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে ইন্ডিয়া'র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিন তা কেন্দ্রীয় সরকারও চায়নি।' অর্থাৎ পুরোটার জন্য কেন্দ্রের শাসক দলকেই দুষেছেন শিবসেনা মুখপাত্র।
সমন্বয় কমিটির বৈঠকে নেই অভিষেক। প্রতিবাদে কী পদক্ষেপ করছে 'ইন্ডিয়া'র সমন্বয় কমিটি? সঞ্জয় রাউত বলেছেন, 'আজকেই তাঁকে (অভিষেক) ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। আমরা তাঁর জন্য একটি আসন ফাঁকা রেখে এই বার্তাই দিতে চাইছি যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ইন্ডিয়া'র সদস্যদের উপর অত্যাচার করছে।'
'ইন্ডিয়া' জোটের শরিক কংগ্রেস ও সিপিআইএম-ও। সঞ্জয় রাউত যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়ে তোপ দাগছেন, গোটা বিরোধী জোট তাঁর পাশে রয়েছে বলে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন বাংলার কংগ্রেস ও সিপিআইএম নেতারা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার। তবে, সঞ্জয়ের এদিনের পোক্ত জোট বার্তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি 'ইন্ডিয়া'র অন্য কোনও নেতা। এদিন অবশ্য শরদ পাওয়ারের বাড়িতে 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না সিপিআইএম-এর কেউ।