আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই নিজেদের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি পেশ করবে বিরোধীরা। সে কর্মসূচি হবে স্বচ্ছ। দেশের সংবিধানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সমস্ত স্বাধীনতাকামী, প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে।
২১টি বিরোধী দলের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সংবিধান নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। গণতন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রূপের পাত্র। এই পরিস্থিতিতে মেহনতি মানুষ, কৃষক, ক্ষেত মজুররা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছেন।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু তথা পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগের দিন রাজধানীতে বৈঠকে বসেন বিরোধীরা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর যেভাবে আঘাত করা হচ্ছে তা ঠেকাতেই হবে। বিরোধীবৈঠেকে যোগ দিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো, ভারতের সংবিধান এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।’’
বিরোধীদের বৈঠক যখন শেষ হয়, ঠিক সেসময়েই পদত্যাগ করেন উর্জিত প্যাটেল। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উর্জিতের পদত্যাগ প্রসঙ্গে মোদী সরকারকে এক হাত নেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই থেকে আরবিআই, সমস্ত প্রতিষ্ঠানেরই সর্বনাশ হয়েছে। এরকমটা আগে কখনও হয়নি। এটা ভয়ানক ব্যাপার। আমাদের বিরোধিতা করতেই হবে।’’
মমতার প্রস্তাব ছিল, মঙ্গলবারও বৈঠক চলুক এবং বিরোধীদলের নেতারা উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করুন। ‘‘বিজেপি ডিক্টেটরের মত আচরণ করছে। এই শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জরুরি। এ ব্যাপারে সবাই এক মত। এখানে কোনও অর্থনৈতিক স্থিতি নেই। অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা শুরু হয়েছে।’’
এদিনের বৈঠকে সপা ও বসপা যোগ দেয়নি। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচ ডি দেবেগৌড়া, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে নেতা এম কে স্টালিন এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ন্য়াশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, এনসিপি-র শরদ পাওয়ার, এল জেডি-র শরদ যাদব প্রমুখ। ছিলেন সোনিয়া গান্ধীও।