কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলো আরও আইএএস অফিসার, খাদ্যশস্যে ন্যূনতম সহায়তা এবং বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে জিএসটিতে ছাড় চায়। রবিবারই গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে আয়োজিত নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের এই বৈঠকে দেশের ২৩টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সোরেনের মত বিরোধীশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও তিন জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, দু'জন প্রশাসক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ছিলেন বৈঠকে। তবে, বৈঠকে যোগ দেননি বিহার, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা। এছাড়াও পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও চণ্ডীগড়ের প্রশাসক বৈঠকে যোগ দেননি।
বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠকে নমস্কার বিনিময় করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু, সেসবের শেষে বৈঠকে দেখা গেল দাবিদাওয়া পেশের ছবি। আর, সেই দাবিদাওয়ার বেশিরভাগটাই চাইলেন বিরোধীশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য কৃষিক্ষেত্রে ন্যূনতম আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এই জন্য আইনি নিশ্চয়তা চাই। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, আইএএস অফিসারের সংখ্যা বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোকে বেশ কম। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোতে তাই আরও বেশিসংখ্যক আইএএস আধিকারিক চাই। পাশাপাশি, বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে উন্নত করতে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোর বিভিন্ন পণ্যে আরও বেশি করে জিএসটি ছাড়েরও দরকার।
আরও পড়ুন- রাজস্থানের খাটুশ্যামজি মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩
বৈঠকে কংগ্রেসশাসিত ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও বামশাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রীরা অভিযোগ করেন, জিএসটির জন্য তাঁদের রাজ্যের আয় কমেছে। এর ফলে ওই সব রাজ্যের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সেই কারণেও বিরোধীশাসিত রাজ্যে আরও বেশি করে জিএসটি ছাড়ের দরকার। বৈঠকে প্রায় ৯ মিনিট বক্তব্য রাখেন বিরোধীশাসিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি আবেদন করেছিলেন, তাঁকে আগে বলতে দিতে হবে। না-হলে, তিনি লিখিতভাবে বক্তব্য জানিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হবেন। তাঁর সেই আবেদনের কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে বলতে দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বক্তব্যে বিরোধীদের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তৃণমূলশাসিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও আগেই জানিয়েছিলেন তিনি মোদী সরকারের নীতির বিরোধী। সেই বিরোধিতার কারণেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। সেই মতই তিনি বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। শুধু বৈঠক এড়ানোই নয়, মোদী সরকার যেভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোকে বঞ্চনা করছে, তারও কঠোর সমালোচনা করেছেন চন্দ্রশেখর রাও।
Read full story in English