পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এসে শুধু নিজেদের আঁধারই ঘোচাল না কংগ্রেস, পালে হাওয়া লেগে গেল বিজেপি শাসিত এনডিএ-র বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের সম্ভাবনাতেও।
রাজস্থানে যে ১৩ জন, মধ্যপ্রদেশে যে চারজন নির্দল প্রার্থী জিতেছেন তাঁরা সকলেই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস। এই দুই রাজ্যে তাঁরা কংগ্রেসকেই সমর্থন করতে চলেছেন।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ গভীর রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে তিনি নির্দলদের সমর্থনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় এবং রাজস্থানে কংগ্রেসের জয়ের পিছনে ‘‘দলীয় কর্মী, কৃষক, এবং ছোট ব্যবসা’’রই কৃতিত্ব দেখছেন রাহুল গান্ধী।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় এবং রাজস্থানে মোট ৬৫ টি লোক সভা আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ৬২টি আসনই পেয়েছিল বিজেপি।
বিরোধীদের কাছে মঙ্গলবারের ফল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল- যে মোদীকে আর অপরাজেয় ঠেকছে না।
কংগ্রেসের পক্ষে আরও সুখবর হল ২০১৪ সালের পর এই প্রথম তারা সরাসরি লড়াইয়ে বিজেপিকে হারাত সক্ষম হল। সম্প্রতি গুজরাটে কোনওরকমে জিতেছে বিজেপি। এই জয়ের ফলে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে তাঁরা আসন ভাগাভাগি নিয়ে দরাদরিতে যেতে পারবেন, কংগ্রেসের নেতারা এ কথা বেশ বুঝতে পারছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এও স্বীকার করে নিচ্ছেন এর ফলে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধও তৈরি হবে।
সিপিআইয়ের ডি রাজা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘‘এর ফলে কংগ্রেস যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনই সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দলগুলিরও শক্তিবৃদ্ধি হবে। এ থেকে সকলকেই শিক্ষা নিতে হবে এবং একই সঙ্গে বাস্তবের মাটিতে পা রেখে পরস্পরের প্রতি খোলা মনোভাব রাখতে হবে- যাতে ২০১৯ এর ভোটে সকলে একযোগে মিলে বিজেপি-কে পর্য়ুদস্ত করা যেতে পারে।’’
বিরোধীদলের নেতারা বলছেন, কংগ্রেস-বসপা জোট হলে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ফলাফল নিয়ে এত টেনশন করতে হত না।
Read the Full Story in English