মণিপুর নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে বিরোধী শিবির। সূত্রের খবর, এ বার লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। পরে রাজ্যসভাতেও এমন প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে এবাবার লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'। পরে রাজ্যসভাতেও এমন প্রস্তাব আনা হতে পারে। এদিন শুরুতেই কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের কক্ষে বিরোধী জোটের বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে সংসদে বিরোধীদের মোকাবিলায় মঙ্গলবার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে বিজেপি সংসদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই মোদী বলেন 'ইন্ডিয়া' জোটকে কটাক্ষ করে বলেন 'ইন্ডিয়া নাম নিলেই কিছু হয় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতেও ইন্ডিয়া শব্দ ছিল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও ইন্ডিয়া'র নাম রয়েছে।'
লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই এদিন বিরোধী সাংসদরা মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয়। শুরু হয় হট্টগোল। ফলে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। অন্যদিকে, মণিপুর নিয়ে 'আপত্তিকর' ব্যবহারের যুক্তি দেখিয়ে আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে বাকি অধিবেশনের জন্য সোমবার সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এর বিরোধিতায় মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয় রাজ্যসভার অধিবেশনও।
সোমবারই বিজেপি দাবি করেছে যে, তারা মণইপুর নিয়ে বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ে বিবৃতি দেবেন। শাসক দল বিরোধীদের আক্রমণকে ভোঁতা করার চেষ্টায় পাল্টা বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনাগুলি তুলে ধরেছে। যদিও বিরোধীরা চায় মোদি সংসদের উভয়কক্ষে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিন। চলছে প্রতিবাদ। এক্ষেত্রে বিজেপি'র দাবি, বিরোধীরা আলোচনা চাইছেন না বলেই অধিবেশন ভেস্তে দিচ্ছেন।
দাতি সংঘর্ষে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। সম্প্রতি মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভাইরাল ভিডিয়োও প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়েই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতি। মণিপুর নিয়ে ৭৮ মৌনী থাকার পর মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন, 'এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।'