Parliament Monsoon Session: সরকারি আবেদনে সাড়া দিয়ে সংসদ সচলের কৌশল নির্মাণে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদের বাসভবনেই এই বৈঠকে থাকবেন সরকার-বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। ব্রেকফাস্ট মিটিং অর্থাৎ প্রাতঃরাশ বৈঠক নাম দেওয়া হয়েছে এই সূচির।
তবে বাদল অধিবেশনের দশম দিনেও সেভাবে সচল নয় সংসদের দুই কক্ষ। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘মোদী সরকারের গোঁড়ামিতেই বারবার ব্যাহত হচ্ছে সংসদের অধিবেশন।‘ সরকারি তরফে দাবি, ‘বিরোধীরা নন-ইস্যু প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সংসদ চালাতে বাধা দিচ্ছে।‘ তবে সোমবার রাহুলের নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকের দিকে তাকিয়ে বিশ্লেষকরা। সংসদ সচল রেখে কীভাবে বিরোধীদের দাবি সরকারের কান পর্যন্ত পৌঁছন যায়? সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। এমনটাই কংগ্রেস সূত্রে খবর।
বিরোধী সূত্রের খবর, সংসদের বাইরে প্রতীকী সমান্তরাল সংসদ চালাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিরোধী দলগুলো। এমনকি, মঙ্গলবারের বৈঠক এই প্রতীকী সংসদের মহড়া হিসেবে ব্যবহার হোক। এমন প্রস্তাব রেখেছেন বিরোধী সাংসদরা। এদিকে, রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, 'পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হলে সরকারের ভূমিকা বেরিয়ে পড়বে। তাই তারা আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে। সংসদ অচল থাকার জন্য মোদী সরকারের একগুঁয়েমি দায়ী।‘
খারগের আক্রমণ, ‘পেগাসাস-কাণ্ডে আলোচনা হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সরকারপক্ষ। ওদের মর্যাদাহানি হবে। তাই মুখে আলোচনার কথা বললেও। বাস্তবে রাজি নয়।‘ অপরদিকে সোমবার বিরোধী হল্লার মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল সংস্কার বিল পাস করেন অর্থমন্ত্রী। দ্রুত ন্যায় প্রদানে একাধিক ট্রাইব্যুনাল এবং সরকারি সংস্থার ভূমিকা খর্ব করতে এই সংশোধনী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন