সারা দেশের সাড়ে আট হাজার নির্বাচনী প্রার্থীর ভাগ্য এখন নির্ভর করছে সারি সারি ভোট যন্ত্রের ওপর। কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে আর কার ভাগ্যে কিছুই জুটবে না, সব হিসেব লুকিয়ে রয়েছে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ভোট যন্ত্রে। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। মঙ্গলবারই খুলে দেওয়া হবে ইভিএম যন্ত্র।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, মিজোরাম এবং তেলেঙ্গানার বিধানসভা ভোটের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এই বিপুল সংখ্যক ইভিএম যন্ত্র। সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি মধ্যপ্রদেশে। এখানে ২৯০৭ জন প্রার্থীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৬৫ হাজার ৩৬৭টি ভোট যন্ত্র।
আরও পড়ুন, ‘৫০০ তো দূরের কথা, পাঁচজন কর্মীও সিপিএম ছাড়েন নি’
ভোট গ্রহণ হয়ে গেলে ইভিএম যন্ত্র চলে যায় স্ট্রংরুমে। প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য কতগুলো স্ট্রংরুম থাকবে, তা অবশ্য নির্দিষ্ট থাকে না।
মোট ৬৭৯টি বিধানসভা আসনের জন্য পাঁচ রাজ্যে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রাজস্থানে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল।
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে আবার ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে পাঁচ রাজ্যের প্রত্যেকটিতেই বিজেপি কেমন ফল করে, তা দেখার বিষয়। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে অনেকটাই আঁচ করা যাবে কী হতে চলেছে ২০১৯-এর আসন্ন লোকসভায়।
ছত্তিসগড় এবং মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে বিজেপির জন্য ওই দুই রাজ্যে এটা হবে চতুর্থ দফা। ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও রাজস্থান-সহ এই দুই রাজ্যে ৬৫টি আসনের মধ্যে ৬২টিই বিজেপির দখলে ছিল।
মিজোরামের ফলাফলের জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কংগ্রেসও। উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে মিজোরামই একমাত্র বিজেপির দুর্গে পরিণত হয়নি এখনও।
Read the full story in English