Advertisment

বাংলায় তৃণমূলকে 'জোট বার্তা' এআইএমআইএম-এর 

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একসঙ্গে লড়াইয়ের আবেদন জানাতে চাই। পৃথক ভাবে ভোটে লড়াই করলে ক্ষতি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫ আসনে জয়ে উজ্জীবিত এ রাজ্যের এআইএমআইএম(মিম) নেতৃত্ব। বুধবার হায়দ্রাবাদে বাংলা নিয়ে একপ্রস্ত বৈঠক করেছেন দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। এদিকে বাংলার এআইএমআইএম নেতৃত্ব ঘোষণা করে প্রকাশ্যে কর্মসূচি না করলেও তাঁরা যে বসে নেই সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, "২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একসঙ্গে লড়াইয়ের আবেদন জানাতে চাই। পৃথক ভাবে ভোটে লড়াই করলে ক্ষতি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের।"

Advertisment

এর আগে এরাজ্যে প্রকাশ্য কর্মসূচির কথা বলেছিল মিম। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁরা সেই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেনি। তাঁদের কার্যকর্তাদের নানা অজুহাতে রাজ্য সরকার গ্রেফতার করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন এ রাজ্যের এআইএমআইএম নেতৃত্ব। বাংলার এআইএমআইএম নেতা সৈয়দ জামিরুল হাসান বলেন, "বিহারে আমাদের সঙ্গে জোট করলে আরজেডি সরকার গড়ত। আমরা এখন ছোট দল নই, সর্বভারতীয় দল। বিহারে আমাদের জন্য ১৯টা সিট হেরেছে আরজেডি। ওই আসনে জয় পেলে আমরা তেজস্বী সরকারকে সমর্থন করতাম। বাংলায় দিদি সম্মানজনক জোট করতে চাইলে করব। তৃণমূল আমাদের হাত না ধরলে বিরোধী হয়েই লড়ব। রাজ্যে যতগুলি আসনে পারব আমরা প্রার্থী দেব। যেখানে প্রার্থী দেব সেখানেই তৃণমূলের ক্ষতি হবে। আমরা একটা আসনে যদি ২০ হাজার ভোট পাই। তাহলেই ওদের মুশকিল হবে।"

তবে কী শুধু ভোট কাটার জন্য প্রার্থী দিচ্ছেন, যেমন কংগ্রেস অভিযোগ করছে? জামিরুল বলেন, "আমাদের অযথা ভোট কাটার দল বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। আমরা বিহারে যে আসনে হেরেছি সেখানেও ৩০-৪০হাজার ভোট পেয়েছি। বিহারে কয়েকটা আসনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছি। আমরা বিহারে বিজেপিকে ফাইট দিয়েছি। এ রাজ্যে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। তাছাড়া ১৫৫ আসনে ৩০-৭০ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছে। দিদি(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাদের সঙ্গে বন্দুত্ব না করলে কেউ মানবে না।" তিনি বলেন, "জোটের জন্য তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছি। এরপর আমাদের বলবে বিজেপির বি টিম।"

এক বছর আগে মিম যে ভাবে রাজ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিল তা থমকে যায়। এমনকী সভা, সমাবেশ করবে বলেও জানিয়েছিল দলের বাংলার নেতৃত্ব। রাজ্য কমিটি গঠন না হলেও ব্লক স্তরে কমিটি গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছিল মিম। জামিরুল হাসান বলেন, "আমরা প্রস্তুত। আমরা বসে নেই। নীরবে আমাদের কাজ চলছে। কোনও দিন কাজ বন্ধ হয়নি। প্রকাশ্যে সভা করিনি ঠিকই, আমরা তো যাত্রা পার্টি নই। মহামারীর সময় বাইরের রাজ্যে থাকা বংলার মানুষকে সাহায্য করেছি। আমরা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষকে রেশন পাঠিয়েছি।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Mamata Banerjee AIMIM
Advertisment