বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষোভ প্রশমিত করতে আগামিকাল সর্বদলীয় বৈঠকে বসছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে সব রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডাক হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বৈঠক হওয়ার কথা। পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে আলোচনা করেই কমিশন একতরফা ভাবে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। কমিশনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম ও পিডিএস। আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রস্তাবকে কার্যত সিলমোহর দিয়েই আগামী ১৪ মে ভোটের দিন ঘোষণা করে কমিশন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মতো, একদফাতেই ভোট হবে বলে জানায় কমিশন। যে ঘোষণায় কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে যেভাবে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কীভাবে কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম, পিডিএস।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: ফের আদালতে গেল সিপিএম ও পিডিএস
সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আই ই বাংলাকে বলেন, ‘‘যেখানে বুথের সংখ্যা ৫৪ হাজারেরও বেশি, সেখানে রাজ্যে পুলিশের সংখ্যা ৪৮ হাজার, এতে কী করে একদিনে ভোট সম্ভব!’’ তাঁর মতে, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বেই যেভাবে অশান্তি ছড়িয়েছে, তাতে ভোটপ্রক্রিয়া কতটা যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যাবে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বিকাশরঞ্জনের মতে, যেখানে মনোনয়নপর্বের অশান্তিই রুখতে পারেনি পুলিশ, অসহায় অবস্থা সামনে এসেছে, সেখানে এই বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করা কার্যত অসম্ভব। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে নাকি অন্য রাজ্যের পুলিশ এনে ভোট করানো হবে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে দিল্লিতে বিজেপি প্রতিনিধিরা
আদালতের নির্দেশ না মেনেই একতরফা ভাবে কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করেছে বলে আই ই বাংলাকে বলেন পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা ছাড়াই ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সমীর। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি।’’