রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মেঘ অবশেষে কাটছে। পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ কোন দিকে, তা আগামিকালই জানা যাবে। শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ওইদিনই বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলার রায় দিতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে এদিন আবারও রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটপ্রক্রিয়ার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়নো হল। কাল বিকেলে রায় দান পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে বলে এদিন জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পঞ্চায়েত মামলায় আগামিকাল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ কী রায় দেয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটঃ তৃণমূলের নয়া ফরমান, টোল বুথ, বালির খনি বা অন্যান্য সুবিধা নেওয়া যাবে না
অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ীই পঞ্চায়েত ভোট হবে কিনা, সে ব্যাপারে সংশয় থাকছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন বদল করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ১ মে রাজ্যে প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোট। ১ মে শ্রমিক দিবস হওয়ায় ওই দিন ভোটের আপত্তি তোলা হয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির তরফ থেকে। ট্রেড ইউনিয়নগুলির এই আপত্তি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন, EXCLUSIVE: হাসপাতালের গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, আমরণ অনশনে বাবা-মা
ভাল-মন্দ সব দিক খতিয়ে দেখেই মানুষের স্বার্থেই পঞ্চায়েত মামলার রায় দেবেন বিচারপতি, এমনটাই আশাপ্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শাসকদলকে কটাক্ষ করে এদিন অধীর বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা নেই। আর রাজ্য সরকার তো ছেলেখেলা করছে ভোট নিয়ে।’’ হাইকোর্টের নজরদারিতেই ভোট করানোর কথা বলেছেন অধীর চৌধুরী। সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘‘আইনে যা আছে, তার ভিত্তিতেই রায় হবে বলে প্রত্যাশা রয়েছে।’’ পঞ্চায়েত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্বও। কাল আদালতের রায় ঐতিহাসিক হবে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল যা যা বলছে, নির্বাচন কমিশন তাই-ই করছে।’’
আরও পড়ুন, ঠুনকো প্রতিশ্রুতি! পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত ছিটমহলবাসীর
তিন দিন ধরে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। গত সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত ১৬ এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরায়। পঞ্চায়েত মামলার জট দ্রুত কাটানোর জন্য প্রয়োজনে রোজ শুনানি করার পরামর্শ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।