অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দ্বিতীয় নির্ঘণ্ট নিয়ে আপত্তি জানায় বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে কার্যত সিলমোহর দিয়ে একদফাতেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা না করেই দিন ঘোষণা করায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বিরোধীরা। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিএম ও পিডিএস। পরে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায় যে, ১৪ মে কমিশনের করা ভোটগ্রহণের ঘোষণা প্রস্তাব, চূড়ান্ত দিন নয়। আগে ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে খতিয়ে দেখতে চায় আদালত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে কমিশনকে ডিভিশন বেঞ্চে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, ভোটের চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এ নিয়ে পরবর্তী শুনানি আগামিকাল। ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে কিনা, তা এদিনই স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিরোধীরা। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের ৩৪ শতাংশেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতা দখল করেছে শাসকদল।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন কর্মীর মৃত্যু ঘটেছে। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিরোধীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করানোর দাবিও তোলা হয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশ ঘিরে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ।