রাজ্যে পঞ্চায়েতে বিপুল ভোটে জয়ের পরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নবান্নে এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে মোদির মন্তব্যের সমালোচনা করেন মমতা। সবটা না-জেনে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এ রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন, তা ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভোটে দলের সাফল্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে বহু কুৎসা রটানো হয়েছে। আমাদের অসম্মান করা হয়েছে।’’ এরপরই তৃণমূলনেত্রী বলেন,‘‘প্রধানমন্ত্রীও মুখ খুলেছেন, যেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।’’ এ নিয়ে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘একজন মুখ্যমন্ত্রী কখনই প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কখনই কিছু বলতে পারেন না, এটা অসাংবিধানিক। আমাদের সীমারেখা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সমালোচনা করেছেন। সৌজন্যের খাতিরে আমি তাই চুপচাপ রয়েছি।’’
আরও পড়ুন, কর্নাটকের রাজ্যপালের সমালোচনায় মুখর হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিজেপির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতি বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘ওদের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল যে, আমাদের ১০ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমরা এফআইআর দায়ের করেছি। সত্য সামনে আসবেই।’’
আরও পড়ুন, সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়েই কুমারস্বামীকে ফোন মমতার
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘রাজ্যের কোথাও কোথাও বিরোধীরা একজোট হয়েছে, এমনকি মাওবাদীরাও, তবুও তৃণমূল ৯০ শতাংশ আসন জিতেছে।’’ তৃণমূলস্তরে তাঁর দল যে কতটা শক্তিশালী, তা পঞ্চায়েত ভোটের ফলই প্রমাণ করে বলে এদিন ব্যাখ্যা দেন মমতা।
আরও পড়ুন, West Bengal Panchayat Election Result: গণনার দিনও ছাপ্পা ভোট, পুলিশ ও পোলিং অফিসারের সামনেই
পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে বাংলাদেশ থেকেও এ রাজ্যে লোক ঢুকেছিল বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে ভোটের দিন কেন বাংলাদেশ থেকে লোক আনা হয়েছিল? বিএসএফ কী করছিল?’’ আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার, তা সত্ত্বেও তাঁদের এ ব্যাপারে কেন কিছু জানানো হয়নি, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসম, ঝাড়খণ্ড ও অন্যত্র এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা এসেছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই টাকা কারা এনেছিল ও কেন পঞ্চায়েত ভোটের সময় টাকা আনা হয়েছিল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।