রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এবারের ভোট একেবারেই নজিরবিহীন হয়েছে একাধিক কারণে। ভোট আদৌ হবে কিনা, বা হলে কবে হবে, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল একাধিক মামলার জেরে।
সূত্রপাত হয়েছিল মনোনয়পত্র দাখিলে হিংসার ঘটনা নিয়ে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের কর্মী ও প্রার্থীরা তো আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ এসেছেই, একইসঙ্গে হিংসার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরাও। এবারের পঞ্চায়েতভোটে নজিরবিহীন হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। একইসঙ্গে এবারের নির্বাচনেই নজিরবিহীনভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেকর্ড আসনে জিতেছে শাসকদল। এ নিয়ে প্রতিবাদী হয়েছেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশও। এ সমস্ত ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। হাইকোর্ট একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কারও করেছে। এ সব ঘিরে ভোট আদৌ নির্ধারিত দিনে হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। প্রথমবারে কমিশন ১ মে-তে ভোটের দিন ধার্য করলেও সে দিন ভোট সংঘটিত না হওয়ায়, এ নিয়ে সংশয় বৃদ্ধি পায়। তবে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত জট কাটে।
এবারের ভোট নিয়ে বিরোধীদের যতই অভিযোগ থাকুক না কেন, সে নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে চাননি রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা। নিজেদের বিপুল জয়ই দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা।
ভোটের নিরাপত্তার জন্য এবার রাজ্যের পুলিশ ছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে ২০০০ পুলিশ কর্মী নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিটি বুথে একজন লাঠিধারী ও একজন রাইফেলধারী পুলিশ কর্মী থাকবেন। নিয়োগ করা হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও।
আগামিকাল, সোমবার ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে। ভোটগ্রহণ চলবে বেলা ৫ চা পর্যন্ত। ভোটগণনার দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মে।