'যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদের টলানো যাবে না, তাঁদের চমকাতে হবে। বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে বলবেন আপনি যদি ভোট দিতে যান, তাহলে আমারা ধরে নেব বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার রিস্ক।' আসানলসোলে পুননির্বাচনের আগে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই হুমকি ঘিরে শোরগোল পড়েছে। ভাইরাল বিধায়কের হুমকি। যাকে কেন্দ্রে করে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ তুঙ্গে। সরব পদ্ম নেতারা। অস্বস্তি বেড়েছে শাক শিবিরেরে। অবশ্য যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বিধায়কের অবশ্য দাবি ওই বক্তব্য বেশ কিছুদিন আগের। এবং গোটাটার দায় ঠেলেছেন পশ্চিম বর্ধমানের পূ্র্বতন তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্রনাথ তিওয়ারির দিকে।
ভোটার থেকে নেতৃত্ব, বিরোধীদের যে এ রাজ্যে কণ্ঠরোধ করা হয়, ক্রমাগত হুমকির শিকার হতে হয়, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের ভাইরাল হুমকি ভিডিও তুলে আরও একবার সেই দাবিতে সোচ্চার বিজেপি। আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, 'আসলে বিধায়ক বুঝেছেন বিজেপির লোকরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তৃণমূল হারবে। এই রকম হুমকি উনি না দিলেই ভাল হয়। আসলে এই নেতা অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য। অনুব্রত মণ্ডল হয়তো কিছুদিন পরে জেলে থাকবেন। এই পরিস্থিতি থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে লুডো খেলার জন্য আরও দু'তিনজন লাগবে। তখন হয়তো ওঁকে যেতে হবে।' বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে কমিশনে নালিশ জানাতে পারে গেরুয়া বাহিনী।
নরেন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আসন্ন আসানসোল লোকসভা পুনর্নিবাচনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, 'বিধায়ক উস্কাচ্ছেন। কার্যত হিংসায় মদত দিচ্ছেন। প্রয়োজনে মারের বদলে মার হবে। ছেড়ে কথা বলব না।'
বিধায়কের মন্তব্যে বেকায়দায় জোড়া-ফুল শিবির। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছেন, 'সত্যি যদি এমন ভাষা বলে থাকেন, সেটা উচিত নয় । এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না । উচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন ।'
দল বিধায়কের হুমকিকে প্রাকাশ্যে মাণ্যতা দেয়নি। ফলে শোরগোল বাড়তেই এবার সুর বদল করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়র নরেন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি, 'আমাদের জেলা সভাপতি যিনি ছিলেন, বর্তমানে তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন, সেই সময় তাঁর নির্দেশে অনেক কিছুই করেছি আমরা । আমরা নিচুতলার কর্মী, যা নির্দেশ আসত তাই করতাম৷'