আজ সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেও আদানি ইস্যুতে উত্তপ্ত সংসদের উভয় কক্ষ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের বাজেট অধিবেশন। বাজেট অধিবেশনের আগেই বিরোধী দলের নেতারা রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করেন। বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তৃতা বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিপ্তে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে রাজ্যসভা ১১.৫০ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
রাহুল গান্ধীকে দেওয়া নোটিসের উত্তরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, 'রাহুল গান্ধী সংসদে যা বলেছেন এতে অসংসদীয় কিছু নেই। তাই তিনি যথাসময়েই নোটিসের জবাব দেবেন'। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, 'স্পিকারকে নোটিস না দিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধী যদি তাঁর দাবি প্রমাণ করতে না পারেন বা তাকে সংসদে ক্ষমা চাইতে হবে, অন্যথায় তিনি তার লোকসভার সদস্যপদ হারাবেন। রাহুল গান্ধীকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সময়ে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন যে 'যেহেতু আজ সংসদে বাজেট অধিবেশনের প্রথম অংশের শেষ দিন, তাই আমরা আলোচনা করব কীভাবে আমরা এই আদানি সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং আমাদের স্পিকার কী করবেন। এ বিষয়ে অন্যান্য দলের নেতারাও তাদের মতামত জানাবেন'।
৭ ই ফেব্রুয়ারী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লোকসভায় আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে বক্তৃতা দেন; অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ৮ই ফেব্রুয়ারি লোকসভায় এবং একদিন পরে রাজ্যসভায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। উভয় ক্ষেত্রেই, তবে তিনি আদানি বিতর্ক এড়িয়ে গিয়ে বলেন ১৪০ কোটি ভারতীয় বিরোধীদের 'মিথ্যার' বিরুদ্ধে তাঁর ঢাল।
সোমবার সকাল ১১টায় সংসদের বাজেট অধিবেশন আবার শুরু হয়েছে এবং বিরোধীরা আবার আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা করছেন। আজ ৩১ জানুয়া্রি শুরু হওয়া অধিবেশনের প্রথম অংশের শেষ দিনও; দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত অংশ ১৩ মার্চ শুরু হবে এবং ৬ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: < রাজ্যপাল পদে নাজির, কংগ্রেসের কটাক্ষকে খড়কুটোর মত উড়িয়ে কী বললেন রিজিজু? >
সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের আজ শেষ দিন। ১৩ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতবি করা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে, বিরোধী সাংসদরা জেপিসির দাবিতে সংসদে তোলপাড় সৃষ্টি করেন। আদানি বিতর্ক নিয়ে বিরোধীরা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিপ্ত জেপিসি'র দাবি জানিয়েছেন।
লোকসভায় রাহুলকে নোটিশের বিষয়ে খড়গে বলেন – 'রাহুল গান্ধী সংসদে যা বলেছিলেন তাতে অসংসদীয় কিছু নেই। নিয়ম অনুযায়ী তিনি নোটিশের জবাব দেবেন। রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে চাপের মুখে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। এতে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখর। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৩ মার্চ এবং চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।