সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু বকেয়া বিল পাশ করানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। মঙ্গলবার চলতি অধিবেশনের মেয়াদবৃদ্ধির বিষয়ে দলীয় সাংসদদের কার্যত সবুজ সংকেত দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা ছাড়া একের পর এক বিল পাশ করিয়ে গণতন্ত্রকে কার্যত হত্যা করছে বিজেপি সরকার।
মঙ্গলবার দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি সভাপতি। শাসকদল সূত্রের খবর, সেখানেই চলতি অধিবেশনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত করেছেন তিনি। অমিত শাহ জানিয়েছেন, যে বিলগুলি এখনও পাশ হয়নি, এই ১০ দিনে সেগুলি পাশ করানোর জন্যই এই পদক্ষেপ। বৈঠকের শেষে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশিকে অধিবেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন, কর্ণাটকে জারি নাটক, আস্থা ভোটের জন্য নয়া ডেডলাইন
বিরোধীরা অবশ্য অধিবেশনের মেয়াদবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে আইনসভায় প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাশ করানো হচ্ছে, তা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিরোধী দলের এক নেতার কথায়, "বিজেপি সরকারের আমলে গণতন্ত্র এবং সংসদ - দুটিকেই হত্যা করা হচ্ছে। গত ২৫ দিনে ১১ টি বিল কোনওরকম পর্যালোচনা ছাড়াই পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার আরও ১০ টি বিল আনা হয়েছে। সরকার অধিবেশনের মেয়ার বাড়ানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিরোধীদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।" তিনি আরও জানান, আগামীকাল, বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় সংসদ চত্ত্বরে বিরোধী দলগুলির নেতারা বৈঠকে করে এই সংক্রান্ত কর্মসূচি ঠিক করবেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চদশ লোকসভায় ২২৫ টি বিলের মধ্যে ১৬১ টি সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ষোড়শ লোকসভায় সেই সংখ্যা কমে ১৮৫ টি বিলের মধ্যে মাত্র ৪৭ টিতে দাঁড়ায়।