সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়েও আদানি ইস্যুতে হট্টগোল। ইডি দফতর অভিযান বিরোধীদের। বিরোধী দলগুলি ফের সংসদে আদানি ইস্যুতে আজ পথে নেমেছে। সংসদ থেকে শুরু করে রাজপথ আদানি ইস্যুতে সরকারকে কোনঠাসা করতে মরিয়া বিরোধীরা। বিরোধী দলগুলিও এদিন ইডি অফিসে মিছিল করার প্রস্তুতি নিলে বিজয় চকের কাছে বিরোধী দলের সদস্যদের এগোতে বাঁধা দেয় দিল্লি পুলিশ। এর আগে বুধবার, সংসদ ভবনে বিরোধী দলের নেতা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে এক বৈঠকে বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, সাংসদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইডি-র কাছে আজ তুলে দেওয়ার কথা ছিল বিরোধী শিবিরের।
আজকের মিছিল চলাকালীন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'আমরা আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য ইডি অফিসে যাওয়ার সময় বিজয় চকের কাছে পুলিশ আমাদের আটকায়। আদানি ইস্যুতে লক্ষ লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারি, এলআইসি, এসবিআই-সহ তদন্তের তাবিতে আজকের বিরোধী দলের এই অভিযান আটকে সরকার এটাই প্রমাণ করতে চায়, যে কোন মূল্যে বিরোধী কন্ঠকে রধ করতেই হবে।
আদানি ইস্যুতে বিরোধী দলগুলির মিছিলের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিজয় চকে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে বিরোধীরা আদানি ইস্যুটি সংসদে উত্থাপন করছে এবং হিন্ডেনবার্গ-আদানি রিপোর্টের একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) তদন্ত দাবি করছে। এক মাস বিরতির পর সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। জেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বেও আদানি ইস্যুতে জল ঘোলা হচ্ছে। যদিও এনসিপি এবং টিএমসি আজকের এই অভিযানে গড়হাজির ছিল।
২৪ জানুয়ারি, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ছয় সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ এম সাপরে। আদানি ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলগুলির হট্টগোলের জেরে কারণে রাজ্যসভা ও লোকসভার কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী আজ ভারতে এসেছেন।
এদিকে আদানি ইস্যু নিয়ে যখন বিরোধী দলগুলি পারদ চড়াচ্ছে, ঠিক তখনই রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানায় মরিয়া বিজেপি। রাজ্যসভায়, সংসদের নেতা পীযূষ গোয়েল বলেছেন, “আমরা চুপচাপ বসে সবকিছু দেখতে পারি না। সংসদের একজন সদস্য বিদেশে গিয়ে ভারতের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আমি হতবাক যে কিছু দলও তাকে সমর্থন করছে। একজন সিনিয়র সাংসদ কীভাবে বিদেশের মাটিতে সংসদকে বদনাম করার চেষ্টা করেছেন তার সমালোচনা করার জন্য আমি সব দলের প্রতি আহ্বান জানাই।” লোকসভা সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেছেন, "বিজেপি এমন বিষয়গুলি তুলে ধরে যেগুলি নিয়ে মানুষ চিন্তিত।" "লন্ডনের মাটিতে রাহুল গান্ধী যা বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে হাউসের অভ্যন্তরে আমাদের বিক্ষোভ জারি রয়েছে"।