সংসদের নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য দাবিতে উত্তাল সংসদ ভবন। অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ ৩৩ জন সাংসদকে আজ সোমবার সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় হট্টোগোলের জেরে বিরোধী দলের মোট ৩৩ সংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত, মোট ৩৩ জন বিরোধী সাংসদকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। হট্টগোলের জেরে লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আজ সোমবারও সংসদের নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য দাবিতে উত্তাল সংসদ। স্পিকার ওম বিড়লা পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ মোট ৩৩ বিরোধী সাংসদকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করেছেন। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর, ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় হট্টগোল করার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। সাসপেন্ডদের মধ্যে কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও রয়েছেন।
লোকসভা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ইস্যুতে বিরোধী সাংসদদের হট্টগোলের মধ্যে রাজ্যসভা জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০২৩ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধন) বিল পাস করেছে। সাসপেন্ডড সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী, ডিএমকে সাংসদ টি আর বালু এবং দয়ানিধি মারান এবং টিএমসির সৌগত রায়। সাংসদের বরখাস্তের প্রস্তাব সংসদে পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। পরে তা কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়।
কার্যত, অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছিলেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে নামের সাংসদরা। এই সকল সাংসদদের সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সময়ে, লোকসভার ১৩ জন সাংসদ যাদের গত সপ্তাহে সাসপেণ্ড করা হয়েছিল তারা সোমবার সংসদ ভবন চত্ত্বরে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান এবং সংসদের নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য দাবি করেন।
এদিন বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, এ রাজা, দয়ানিধি মারান, অপরূপ পোদ্দার, প্রসূন বন্দোপাধ্যায়,
অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রেম চন্দ্রন, শতাব্দী রায়, সৌগত রায়, অসিত কুমার, কাকলি ঘোষদস্তিদার সহ ৩৩ জন।
বিরোধী দলের দাবি কী?
বিরোধী সাংসদরা দাবি করছেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংসদে এসে লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বক্তব্য পেশ করতে হবে।